শিরোনাম
◈ বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক হবে গঠনমূলক ও ভবিষ্যতমুখী: হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা ◈ এলডিসি থেকে উত্তরণ: আরও তিন বছরের সময় চাইছে বাংলাদেশ ◈ জাপানে জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেসব সিদ্ধান্ত নিল অন্তর্বর্তী সরকার ◈ ১৭ বিয়ের ঘটনায় মামলা, সেই বন কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ বিএনপি নেতাকে না পেয়ে স্ত্রীকে কু.পিয়ে হ.ত্যা ◈ বাংলা‌দেশ হারা‌লো আফগানিস্তানকে, তা‌কি‌য়ে রই‌লো শ্রীলঙ্কার দিকে  ◈ রোজার আগে নির্বাচন দিয়ে পুরোনো কাজে ফিরবেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ ঋণের চাপে আত্মহত্যা, ঋণ করেই চল্লিশা : যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ ◈ একযোগে এনবিআরের ৫৫৫ কর্মকর্তাকে বদলি ◈ আবারও রেকর্ড গড়ল স্বর্ণের দাম, ভরিতে বেড়েছে ৩ হাজার ৬৭৫ টাকা

প্রকাশিত : ০৩ অক্টোবর, ২০২০, ০৭:৪৯ সকাল
আপডেট : ০৩ অক্টোবর, ২০২০, ০৭:৪৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জন্মদিন পালিত : ৫৬ তে পা দিলেন রক লিজেন্ড জেমস

ডেস্ক রিপোর্ট : নব্বই এর দশকে যার গান ছিল মানুষের মুখে মুখে। সে সময়ে তার গানের জনপ্রিয়তা যেমন ছিল বর্তমান সময়েও তা বিন্দুমাএ কমেনি। তিনি হচ্ছেন সবার প্রিয় শিল্পী মাহফুজ আনাম জেমস।

আজ জেমসের জন্মদিন। এ দেশের রক গানের ভক্তদের কাছে তিনি গুরু নামে পরিচিত। উপমহাদেশের অন্যতম সেরা রকস্টার তিনি। এক কথায় এ দেশের রক গানের উজ্জ্বল নক্ষত্র।

এবারে ৫৬ বছরে পা দিলেন এই রক লিজেন্ড। ১৯৬৪ সালের ২ অক্টোবর নওগাঁয় জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। তার বেড়ে ওঠা চট্টগ্রামে।

জেমসের জীবনে রয়েছে অনেক চড়াই-উৎরাই এর গল্প। তার বাবা ছিলেন একজন সরকারি কর্মকর্তা, যিনি পরবর্তীতে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরিবারের অমতেই সংগীত চর্চা শুরু করেন জেমস। বাবার সঙ্গে গান নিয়ে অভিমান করে বাড়ি ছেড়ে চলে আসেন চট্টগ্রামে। চট্টগ্রামের আজিজ বোর্ডিং-এ তিনি থাকতে শুরু করেন। সেখান থেকেই তার সংগীতের পথচলা শুরু।

১৯৮০ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘ফিলিংস’ নামের একটি ব্যান্ড। জেমস নিজেই ব্যান্ডের প্রধান গিটারিস্ট ও ভোকালিস্ট ছিলেন। ১৯৮৭ সালে তার প্রথম অ্যালবাম ‘ষ্টেশন রোড’ প্রকাশ পায়। যদিও অ্যালবামটি তেমন জনপ্রিয়তা পায়নি। পরে ১৯৮৮ সালে তিনি ‘অনন্যা’ নামের অ্যালবাম প্রকাশ করেন। সেই অ্যালবামটি বেশ আলোড়ন তোলে। সেই থেকে তাঁকে আর পেছন ফেরে তাকাতে হয়নি। একে একে প্রকাশ হয় জেমসের জেল থেকে বলছি, লেইস ফিতা লেইসসহ বিভিন্ন কালজয়ী অ্যালবাম।

এছাড়াও জেমসের অন্যান্য অ্যালবামগুলোর মধ্যে ‘দুষ্টু ছেলের দল’, ‘বিজলি’, ‘অনন্যা’, ‘পালাবি কোথায়’, ‘দুঃখিনী দুঃখ করোনা’, ‘ঠিক আছে বন্ধু’, ‘আমি তোমাদেরই লোক’, ‘জনতা এক্সপ্রেস’, ‘তুফান’, ‘কাল যমুনা’ ইত্যাদি অন্যতম।

জেমস চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করেও বেশ সফল হয়েছেন। তার বেশ কয়েকটি গান চলচ্চিত্রে সুপারহিট এর তকমা পেয়েছে। ‘সত্তা’ ছবির গানের জন্য তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন।

নগরবাউল খ্যাত এ তারকা শুধু দেশে নয়, আর্ন্তজাতিক অঙ্গনেও ব্যাপক জনপ্রিয়। পার্শ্ববর্তী কলকাতাতেও তার গানের অসংখ্য ভক্ত রয়েছে।

বাংলা গানের পাশাপাশি তিনি হিন্দি গান গেয়েও জয় করেছেন লক্ষ ভক্ত শ্রোতার হৃদয়। বলিউডে তার গাওয়া ‘ভিগি ভিগি’ [গ্যাংস্টার], ‘চল চলে’ [ও লামহে] এবং ‘আলবিদা’, ‘রিস্তে’ [লাইফ ইন অ্যা মেট্টো], ‘বেবাসি’ [ওয়ার্নিং] গানগুলো উল্লেখযোগ্য।

বর্তমানে তিনি নিজের মতো করে থাকেন, গান করেন।দীর্ঘ ক্যারিয়ারে গান ও সুরের ইন্দ্রজালে কোটি কোটি মানুষের মন জয় করেছেন তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়