শাহানুজ্জামান টিটু: [২] বিএনপি মহাসচিব বলেন, দুই দেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তের অন্তত তিন পয়েন্টে কা নিউন ছুয়াং, মিন গা লার গি ও গার খু এ ট্রলার থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সৈন্যদের উপস্থিতি দেখা গেছে।
[৩] মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সীমান্ত পয়েন্টগুলোর মধ্যে একটির দূরত্ব আন্তর্জাতিক সীমান্তরেখার (২০০ মিটার) মধ্যে। ওই তিন পয়েন্টে মাছ ধরার ট্রলারের কাঠের নিচে বসিয়ে সৈন্যদের জড়ো করা হয়েছে বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের ধারণা মিয়ানমার সেনাবাহিনী এক দিনেই এক হাজারের বেশি সৈন্যের সমাবেশ ঘটিয়েছে।
[৪] তিনি বলেন, বিনা উসকানিতে সীমান্তবর্তী রোহিঙ্গা অধুষিত বিতর্কিত আন্তর্জাতিক সীমান্তে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এ ধরনের সমাবেশ শুধু যে মিয়ানমারের নৃতাত্ত্বিক রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠীর জন্য আতংকের বিষয় তাই নয়। একই সাথে এটা চলমান আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচারের প্রতি মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও রাষ্ট্র কর্তৃক আইন অবমাননার চুড়ান্ত বহিপ্রকাশ এবং বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।
[৫] মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকারের এই দুর্বল পররাষ্ট্রনীতির কারণেই জাতিসংঘের সর্বোচ্চ সংস্থা নিরাপত্তা পরিষদে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধসহ কোনো ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তাবে আমাদের দীর্ঘদিনের বন্ধু চীন ও রাশিয়ার সমর্থন লাভে আমরা ব্যর্থ হই।
[৬] তিনি বলেন, এমনকি, তথাকথিত বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের সোনালী অধ্যায় চিত্রিত করতে যখন বর্তমান নতজানু সরকারের অবৈধ মন্ত্রীবর্গ নিয়ত ব্যতিব্যস্ত এরকম সময়েও রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সরকারের নেওয়া নিপীড়ণমূলক পদক্ষেপকে সন্ত্রাসবাদবিরোধী যুদ্ধ’ বলে সমর্থন করে ভারতের অবস্থান বাংলাদেশের সমগ্র জনগণকে গভীরভাবে হতাশ করেছিল ।
[৭] শুক্রবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনেতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন মির্জা ফখরুল।
আপনার মতামত লিখুন :