নবনীতা চৌধুরী: আমি চাই, যারা গত দুইদিন ধরে ডটার্স ডে উপলক্ষে কন্যা সন্তানের বাবা মা হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে, সৃষ্টিকর্তাকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন অন্তত তারা নিজেদের মেয়েদের তারা যতদূর যে বিষয়ে পড়তে চায়, যেই পেশা বেছে নিতে চায় সেই সুযোগ দেবেন, তাদের ছেলে সন্তান হলে বা থাকলে যেমন দিতেন বা দেন। আমি চাই, তাদের কন্যা সন্তানকে তারা কখনো বাইরের পরিবেশ প্রতিকূল বলে ঘরে আটকে রাখবেননা। শ্বশুড়বাড়িতে মার খেয়ে, অপমানিত হয়ে মুখ বুজে মানিয়ে নিতে বলবেননা। আর আমি চাই, যেহেতু তারা সবাই বলছেন, বিশেষ করে বাবারা লিখছেন, মেয়েই বেশি খেয়াল রাখে, যত্ন করে আর তারাও মেয়েকেই এই পৃথিবীতে সবচেয়ে ভালবাসেন তাই তারা মেয়েদের সম্পত্তিতে অধিকার দেবেন। বেশি ভালবাসা সত্ত্বেও যদি সম্পত্তি ছেলের সমান দিতে না পারেন, তবু অন্তত ন্যয্য ভাগ দেবেন, দয়া দেখিয়ে কোন এক কোনায় ভাগ নয় (ছেলের জমি গুলশানে আর মেয়ের জমির ভাগ দক্ষিণ মৈশুন্ডিতে নয়) সম্পত্তির সকল অংশে ছেলের অর্ধেক ভাগ মেয়েকে দেওয়াটা অন্তত নিশ্চিত করুন। আমি চাই, এই বাবা মায়েরা শুধু নিজের মেয়েকে ভালই বাসবেননা, একটি উন্নত, সফল, নিরাপদ জীবন গড়ে দিতে কাজ করবেন। সকল সুযোগে, নারীর সমান অধিকারে বিশ্বাস না করলে আপনার -আমার কারো কন্যার সুন্দর ও সুখের জীবন সম্ভব নয়। সেই কথাটাও চলুন মাথায় রাখি এই বিশেষ দিনে।
ছবি দুটো এঁকেছে আমাদের ৬ বছরের মেয়ে। একটা ছবিতে আমি আর সে, আরেকটিতে সে আর তার বাবা। ছবি দুটো আঁকার স্টাইল অন্যরকম লাগলো, মানে বেশ জাপানী লাগল। একটু অনুসন্ধান চালিয়ে, বন্ধুদের জিজ্ঞেস করে জানলাম, এই স্টাইলের নাম anime, জাপান থেকেই এসেছে। আরো জানলাম, আমার আরেক বন্ধুর শিশু কন্যা এখন এনিমে কার্টুন নিয়ে রীতিমত পত্রিকায় রিভিউ লিখছে। পুরো দুনিয়াটাই ওদের উঠান। মনে মনে প্রতিজ্ঞা করি চলুন, অন্তত শিক্ষিত সচ্ছ্বল পরিবারগুলোতেও আমরা সমাজ, ‘নিরাপদ ভবিষ্যৎ’, প্রথা সহ নানা অজুহাত তুলে ওদের ডানাগুলো ছেঁটে দেব না। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :