সিরাজুল ইসলাম: [২] ন্যাগরনো-কারাবাখে রোববার আজারবাইজন সেনারা বিমান ও কামানের গোলা ছুঁড়লে সংঘর্ষ শুরু হয় বলে দাবি করেরেছ আর্মেনিয়া। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে আজারবাইজান বলেছে, আর্মেনিয়ার সেনারা কামানের গোলা ছুঁড়লে তারা জবাব দিয়েছে। তারা অন্তত ৭টি গ্রামের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। ন্যাগরনো-কারাবাখ এ দাবি নাকচ করে দিয়েছে। রয়টার্স
[৩] আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের জন্য ন্যাগরনো-কারাবাখ গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। এটি আজারবাইজানের মধ্যে অবস্থিত। তবে আর্মেনিয় আদিবাসীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে অঞ্চলটি। সেখানে সামরিক আইন জারি করা হয়েছে এবং পুরুষদের একত্রিত করা হচ্ছে। আজারবাইজান মুসলিম প্রধান এবং আর্মেনিয়া খ্রিস্টান প্রধান দেশ। ১৯৯০ সালে দেশ দুইটি যুদ্ধে লিপ্ত হয়। ১৯৯৪ সালে তারা অস্ত্রবিরতির চুক্তি করে। যুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়।
[৪] আর্মেনিয়া বলছে, প্রতিপক্ষের হামলায় তাদের আদিবাসী এক নারী ও এক শিশু নিহত হয়েছে। ১০ সেনা নিহতের দাবি নাকচ করে দিয়েছে তারা। এ সংঘর্ষের কারণে বিশ্বের তেল ও গ্যাস রপ্তানির পাইপলাইনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
[৫] আর্মেনিয়া বলছে, আজারবাইজানের সেনারা ন্যাগরনো-কারাবাখের রাজধানী স্টেপেনকার্টে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলা করেছে। তারা একই ধরনের জবাব দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
[৬] রোববারের এ সংঘর্ষের কারণে ককেসাস অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর্মেনিয়া বলছে, তাদের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গত জুলাইয়ে আজারবাইজান হামলার ঘোষণা দেয়।