শরীফুল হাসান: ক্ষমতাসীনদের আষ্টেপৃষ্ঠে থাকা ধর্ষকদের কঠিন শাস্তি হবে কবে?
শরীফুল হাসান: ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা সব বিপ্লবীদের মোটামুটি চুপচাপ দেখছি। অথচ গত কয়েকদিন ধরে তারা ফেসবুক কাঁপিয়ে ফেলেছিলেন। সিলেটের এমসি কলেজের বর্বর ঘটনায় তারা সব মুখ লুকিয়েছে। আর দারুণ সরব নুরূর সমর্থকরা।
ধর্ষণ একটা ভয়াবহ রকমের অপরাধ। প্রতিটি নারী নিপীড়নের ঘটনা পুরো রাষ্ট্র সমাজ সবার জন্য চরম লজ্জার, হোক সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী, আদিবাসী নারী পোশাক শ্রমিক কিংবা যে কোন নারী। অথচ আমরা এসব নিয়ে রাজনীতি করি।
দেখেন, নুরুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের সরাসরি কোনো অভিযোগ ছিল না। তারই সংগঠনের এক নেতার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সম্পর্কের অভিযোগ ওঠে। এরপর মেয়েটি ধর্ষণের অভিযোগ এনেছে। নুরুর বিরুদ্ধে অভিযোগ এই ঘটনার যথাযথ ব্যবস্থা না নিয়ে মেয়েটিকে হুমকিও ভয় দেখানো হয়েছে। আমি মনে করি এই ঘটনারও সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজন আছে।
তবে একবার কল্পনা করুন সিলেটের ঘটনাটা। স্বামী-স্ত্রী দুজন মিলে নিজেদের গাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন সিলেটের এমসি কলেজের সামনে। সেখানে তাদের গাড়ি ঘিরে দাঁড়ায় ছাত্রলীগের কর্মীরা। তিন জন যুবক মেয়েটিকে টেনে ছাত্রাবাসে নিয়ে ধর্ষণ করে। বাকি দুজন আটকে রাখে যুবকটিকে। ঘন্টাখানেক পর ছেলেটা স্ত্রীকে দেখতে পায় বিধ্বস্ত অবস্থায়। একবার নিজের বিবেককে জিজ্ঞেস করেন কতটা পাষণ্ড হলে এ ধরনের ঘটনা ঘটানো যায়।
ধর্ষণের শিকার মেয়েটি এখন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। বিপর্যস্ত তার পুরো পরিবার। কলেজের অধ্যক্ষ বলেছেন তিনি অসহায়। বরাবরের মতোই নেতারা নিশ্চয়ই বলবেন বিচ্ছিন্ন ঘটনা। কিন্তু এমন বিচ্ছিন্ন ঘটনা আর কতবার ঘটবে? জানি না কবে ক্ষমতাসীনদের আষ্টেপৃষ্ঠে থাকা এইসব ধর্ষকদের কঠিন শাস্তি হবে। জানি না কবে এই বাংলাদেশ ধর্ষণমুক্ত হবে? ফেসবুক থেকে