মোহাম্মদ হোসেন: [২] চট্টগ্রামের হাটহাজারী পৌরসভার সীমানা জটিলতার কারনে নির্বাচন হচ্ছে না। পৌরসভা ২০১১ সালে গঠিত হওয়ার পর একবারও নির্বাচন হয়নি। পৌর প্রশাসকের হাতে রয়েছে পৌরসভার দায়িত্ব। তবে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে বিগত দুই বছর সময়ে এলাকায় যতোষ্ট উন্নয়নের কাজ হয়েছে।
[৩] বর্তমান পৌর প্রশাসকের নেতৃতে রাস্তাঘাট, কালভার্ট, ড্রেনেজ,স্কুূল মাদ্রাসা, নতুন স্কুল ভবন নির্মাণ, বিভিন্ন ওয়ার্ডে নতুন নতুন রাস্তা নির্মাণ করা হয়। পৌরবাসীদের সুবিধার্থে এক সাথে তিনটি পাবলিক টয়লেট নিমার্ণ হচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ওয়ার্ডে রাস্তা ড্রেনেজ সহ বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে।
[৪] হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) মোহাম্মদ রুহুল আমিন গত দুই বছর সময় ধরে (ইউএনও) পাশাপাশি পৌর প্রশাসকের দায়িত্ব আছেন। এর আগে পৗরসভার
[৫] প্রথম প্রশাসকের দায়িত্বে ছিলেন তৎতালিন ইউএনও ইসরাত জাহান পান্না। পরবর্তী পৌর প্রশাসকের দায়িত্বে ছিলেন, আফছানা বিলকিছ, আকতার উন নেছা শিউলী, ও মোয়াজ্জেম হোসাইন।
[৬] হাটহাজারীর পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে বিভিন্ন শ্রেণীর লোকজনের সাথে কথা হলে তারা জানান, পাটি নয়, দল নয় এবং নির্বাচন নয়, আমরা শুধু চাই এলাকার উন্নয়ন। সুতরাং উন্নয়ন যে করবে তাকে আমরা অভিনন্দন জানাব। দলবল নির্বিশেষে এলাকার জনসাধারণ এলাকার উন্নয়নে সব চেয়ে বেশি প্রধান্য দিচ্ছে।
[৭] নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা যায়, পৌরসভা কিছু সীমানা জটিলতার রয়েছে তা শেষ হলে নির্বাচন হবে। এখন সীমানা জটিলতা শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন হচ্ছে না।
[৮] পৌর প্রশাসক রুহুল আমিন বলেন, ‘দায়িত্ব নেয়ার পর পৌরসভা তথা পৌরবাসীর উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। অনেক সমস্যার সমাধান করেছি। আধুনিক পৌরসভা গড়তে কাজ করছি। বর্তমানে পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে রাস্তাঘাট,কালর্ভাট, ড্রেন,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,সড়ক বাতি,পাবলিক টয়লেটসহ বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কাজ চলছে। বিভিন্ন ওয়ার্ডের যাতায়াত সুবিধা ও পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থাসহ বেশি ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। চলমান রয়েছে পাবলিক টয়লেটসহ আরো কিছু উন্নয়নমুলক কাজ। হাটহাজারী সদর ইউনিয়নকে গত ২০১১ সালে পৌরসভা ঘোষণা করা হয়। সম্পাদনা: সাদেক আলী