ইসমাঈল ইমু: [২] আদালতে দায়ের করা সিআইডির অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে অনলাইন ক্যাসিনোর মাধ্যমে উপার্জিত অর্থের মধ্যে ১৩ কোটি ২৮ লাখ ৮৯ হাজার ১৪৬ টাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়া, থাইল্যান্ডে অনলাইন ক্যাসিনোর হোতা সেলিম প্রধানের ৯টি প্রতিষ্ঠান একটি বাগানবাড়িও ও দুটি অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে।
[৩] সিআইডির এএসপি (মিডিয়া) জিসানুল হক বলেন, গুলশান থানায় র্যাবের দায়ের করা মামলাটির তদন্ত শুরু করে সিআইডির ফিনান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট। প্রায় এক বছর তদন্তের পর অনলাইন ক্যাসিনোর মাধ্যমে অবৈধ উপার্জন এবং বিদেশে সেলিম প্রধানের অর্থ পাচারের প্রমাণ পাওয়া যায়। যার ভিত্তিতে সংস্থাটির পক্ষ থেকে সেলিম প্রধানসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে।
[৪] গত বছরের শেষ দিকে র্যাবের ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার হন সেলিম প্রধান। দেশত্যাগের আগ মুহূর্তে বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তারের পর সেলিম প্রধানকে নিয়ে তার অফিসে অভিযানে যায় র্যাব। গুলশান-২-এ মমতাজ ভিশনে সেলিম প্রধানের অফিস থেকে নগদ ৭ লাখ টাকা, ৭৭ লাখ টাকা সমমানের বিদেশি মুদ্রা ও ৮কোটি টাকার চেক উদ্ধার করে র্যাব।
[৫] এছাড়া সেখানে বিদেশি মদ ও হরিণের চামড়া পাওয়া যায়। পাচারের উদ্দেশ্যে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি মুদ্রা রাখার অপরাধে সেলিম প্রধানে বিরুদ্ধে একটি মানি লন্ডারিং মামলা করে র্যাব। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব
আপনার মতামত লিখুন :