ডেস্ক রিপোর্ট : ফিলিস্তিন থেকে আরবরা ইসরাইলের দিকে ঝুঁকে পড়ায় নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় তুরস্কের দ্বারস্থ হয়ে ফিলিস্তিন। সোমবার ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ফোন করে ফিলিস্তিনের অভ্যন্তরীণ সংহতি ও নির্বাচন সংক্রান্ত ইস্যুতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানের সহায়তা কামনা করেন।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস তুরস্কের প্রেসিডেন্টকে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ও ধর্মনিরপেক্ষ ফিলিস্তিনি দল ফাতাহর সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে সাম্প্রতিক আলোচনার ব্যাপারে অবগত করেন। এ ছাড়া ফিলিস্তিনি নাগরিক ও অন্যান্য দলগুলোর ওপর মার্কিন প্রশাসনের চাপ প্রয়োগের ব্যাপারেও আলোচনা করেন তারা।
মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি আর আগের মতো নেই। অনেক কিছু বদলে গেছে। দীর্ঘদিনের শত্রু ইসরাইলের সঙ্গে দুটি আরব দেশ আরব আমিরাত ও বাহরাইন সম্পর্ক স্থাপন করেছে এবং সৌদি আরবসহ আর কিছু দেশ একই পথে অগ্রসর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় মধ্যপ্রাচ্যে
আরব-ইসরাইল-যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্ক-ইরান-কাতার-চীন-রাশিয়া মেরুকরণ হচ্ছে।
এদিকে, নয়া মেরুকরণকে সামনে রেখে সৌদি আরবের প্রবাসী ভিন্নমতাবলম্বীরা ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি পার্টি নামে একটি দল গঠন করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী ভিন্নমতাবলম্বী সৌদি নাগরিকদের নিয়ে বিরোধী দলটির যাত্রা শুরু হয় ২৩ সেপ্টেম্বর।
সৌদি আরবের দীর্ঘ রাজতন্ত্রের ইতিহাসে এটিই প্রথম কোনো বিরোধী রাজনৈতিক দল। প্রবাসী হলেও পর্যায়ক্রমে এটি রাজতন্ত্রকে হুমকির মুখে ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ এর আগে একাধিকবার দল গঠনের চেষ্টা করা হলেও গ্রেফতার ও দমন-পীড়নের কারণে সেটা সম্ভব হয়নি।যুগান্তর