শরীফ শাওন: [২] রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য মতে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১৩ কোটি ডলার শাকসবিজ রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রার বিপরিতে রপ্তানি হয়েছে ১৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৬ শতাংশ বেশি রপ্তানি হয়, প্রবিদ্ধি দাঁড়ায় ৬৪.৫৩ শতাংশ। যা কৃষি খাতের মধ্যে সর্বোচ্চ এবং একক খাতে চতুর্থ সর্বোচ্চ।
[৩] চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে সবজি রপ্তানি হয়েছিল ৬৫ লাখ ডলার, আগস্টে তা বেড়ে হয়েছে ৭২ লাখ ৪০ হাজার ডলার। এতে কভিডের কারণে তৈরি হওয়া ঘাটতিও কমে এসেছে। জুলাই মাসে রপ্তানি ঘাটতি ছিল ২২ শতাংশ, আগস্টে কমে হয়েছে ৯ শতাংশ।
[৪] সংশ্লিষ্টদের মতে প্রবাসে বাংলাদেশিসহ বিদেশিরা নাতিশীতোষ্ণ আবওহায়রার কৃষিপণ্যে আগ্রহী।
[৫] রপ্তানিকারক সূত্র জানায়, করোনায় যাত্রীবাহী বিমান সীমিত আকারে চলাচল কমায় রপ্তানি কিছুটা কমেছে। বণ্যার কারণে উৎপাদন ঘাটতিতে আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় দেশে দাম বেশি। তবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে পটোল, বেগুন, বরবটি, চিচিঙ্গা, পান ইত্যাদি পণ্যই বেশি রপ্তানি হচ্ছে।
[৬] উদ্ভিদ সংগনিরোধ বিভাগের অতিরিক্ত ফজলুল হক বলেন, সকল ধরনের সবজি রপ্তানি করা হয়, এর মধ্যে আলু ৪০ থেকে ৪৩ হাজার টন। রপ্তানি বাড়াতে দেশে আন্তর্জাতিক মানের পরীক্ষাগার তৈরির পরিকল্পনা করছে সরকার।
[৭] কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্মকর্তারা বলেন, অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ বিভাগ শুধু সবজিতে রোগবালাই আছে কি না, এটি যাচাই করে। এর ভিত্তিতে কোয়ারেন্টিন সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে যে মান পরীক্ষার সনদ চাওয়া হয়, তার ব্যবস্থা এখনো হয়নি দেশে।