জাফর ওয়াজেদ: নিউজ ফেক কিনা যাচাই করতে এই লক্ষণগুলো দেখে নেওয়া যায়।
[১] কলকাতায় লেখে এবং বলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে। বাংলাদেশে শুধু গোয়েন্দা সংস্থা লেখে। গোয়েন্দারা ফেলুদা না। তেলবাজ সংবাদ মাধ্যম থেকে দূরত্ব বজাই রাখার জন্য তারা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।
[২] গরিবের বউ সবার ভাবী। অক্সফোর্ড , কেমব্রিজ , হার্ভার্ডের বিজ্ঞানীদের সূত্রে জানা খবর। তাদের গবেষণা প্রকাশ করবার হালাল মাধ্যম আছে।
[৩] বিল গেটস, ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি কালাম, জুকেরবেরগ এইসব হুযুরদের সাইনবোর্ড সামনে রেখে নিজের মতামত প্রকাশের চেষ্টা। এতো বাণী দিলে তাদের মূল অর্জনের আর সময় থাকে না। গুণী লোকেরা বাণী দেবেন না। বেশির ভাগ বাণী ফেক। অনেক সময় কনটেক্সট না বুঝে শুধু টেক্সট অংশ তুলে নিয়ে সেটা মহাসত্য হিসেবে গেলানো হয়।
[৪] শাসক দলের হাই কমান্ড সূত্র। বাস্তবে হাই কমান্ড বলে কিছু নেই। নানান রকমের জটিল সমীকরণ মিলিয়ে সিদ্ধন্ত হয়।
[৫] ফেক নিউজ যেহেতু ভারত থেকে বেশি আসে, তাই আনন্দবাজার পত্রিকার ভাষা ব্যবহার থেকে ফেক নিউজ এর কিছুটা আন্দাজ পাবেন। আন্তর্জাতিক ব্যাপারে তারা সাউথ ব্লককে তথ্য সূত্র হিসেবে দেয়। < সাউথ ব্লকের কর্তাদের কপালে ভাজ> সামরিক কর্তা , গোয়েন্দা সূত্র এসব মশলা দিয়ে আপনাকে ম্যারিনেট করে চিকেন টিক্কা মসাল্লা বানিয়ে গুজব গিলাবে। মনে রাখবেন এসব তথ্যসূত্রের পেটে বোমা মারলেও তারা গোপন জিনিস অনলাইন বা কাগজে শেয়ার করবে না।
[৬] ধর্মীয় অনুভূতি ব্লাকমেইল। মহাকাশ থেকে মক্কা মদিনার আলো। [৭] ইমোশনাল ব্লাক মেইলিং। ছবি শেয়ার করলে ফেসবুক প্রতি শেয়ারে ভিক্টিমকে এক টাকা দেবে।
ছাগলগুলোর মগজে ঢুকে না যে মিথ্যা সূত্র না দিয়ে নিজ দায়িত্বে কথা বললে মানুষ সেটা সহজে গ্রহণ করে। ফেক নিউজের কারণে সৎ সংবাদ মাধ্যম বিশ্বাসযোগ্যতা হারালে ক্ষতি হয়ে যাবে। ফেসবুক থেকে