ডেস্ক রিপোর্ট : আফগানিস্তানের তালেবান গোষ্ঠী নারীর বিরুদ্ধে যে কঠোর বৈষম্যমূলক আচরণ করেছিল, তা সবার জানা। শান্তি আলোচনার সময় একজন নারী সাংবাদিক যখন সেই গোষ্ঠীর কিছু পুরুষের মুখোমুখি হচ্ছেন তাদের সাক্ষাৎকার নেয়ার জন্য, তখন ব্যাপারটা কেমন দাঁড়াচ্ছে? আর সাক্ষাৎকারদাতা যখন নারী সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলতেই চান না - অথবা এমন একজন, যিনি চোখে চোখ রেখে তাকান না, তার সঙ্গে কীভাবে কথা বলবেন? কাতারের দোহায় এখন তালেবান এবং আফগান সরকারের মধ্যে যে ঐতিহাসিক শান্তি আলোচনা চলছে, সেটির খবর সংগ্রহ করতে গেছেন বিবিসির পশতু বিভাগের শাজিয়া হায়া । শাজিয়ার সরল স্বীকারোক্তি নিচে দেওয়া হলো :
শেষ পর্যন্ত আমি অবশ্য কথা বলতে অনিচ্ছুক ঐ তালেবান নেতার সাক্ষাৎকার নিতে পেরেছিলাম। কিন্তু সাক্ষাৎকারের পুরোটা সময় আমি খেয়াল করলাম, তিনি এবং তার প্রতিনিধিদলের অন্য তালেবান নেতারা আমার চোখে চোখ রাখছেন না। এটা স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছিল যে তারা পুরুষদের সঙ্গে কথা বলার সময় যতটা সহজ, মেয়েদের বেলায় মোটেই তা নন।
এরা বিশ্বাস করে, একজন অপরিচিত নারীর চোখে রাখা মানে তাকে অশ্রদ্ধা করা। তাদের দৃষ্টিতে এটা পাপ।
আমি পুরো তিন মিনিট সময় ধরে একজন তালেবান নেতার সাক্ষাৎকার নিলাম কিন্তু তিনি একবারও আমার দিকে তাকালেন না।
আমি সত্যিই বিশ্বাস করি তিনি যদি ভবিষ্যতে আমাকে দেখেন, তিনি মনেই করতে পারবেন না যে আমাকে তিনি একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন।
কিন্তু এসবের কিছুতেই আমি অবাক হইনি। যে গোষ্ঠীটি বহু বছর ধরে লুকিয়ে ছিল, লড়াই করছিল- তাদেরকে চোখের সামনে দেখা, নানা প্রশ্নের মুখোমুখি করা, সেটাও কয়েকমাস আগে অকল্পনীয় ছিল। কাজেই আমি আরও অনেক অপ্রত্যাশিত ঘটনার জন্য তৈরি ছিলাম।
সূত্র- বিবিসি বাংলা