তরিকুল ইসলাম: [২] বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বাস্তবতা বিবেচনায় ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের কোনো আগ্রহ নেই ঢাকার।
[৩] সংযুক্ত আরব আমিরাত তেলআবিবের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছে।
[৪] সৌদি আরবও অলিখিত একটা সম্পর্ক তৈরি করেছে। সুদান, বাহরাইন সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় অনেক দূর এগিয়েছে।
[৫] বাংলাদেশ বরাবরই জাতিসংঘ ঘোষিত টু স্টেট থিওরি এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে।
[৬] ফিলিস্তিনিদের স্বতন্ত্র-স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে জাতিসংঘের যে অবস্থান তার দৃঢ় সমর্থক বাংলাদেশ
[৭] ফিলিস্তিন-ইসরাইল ইস্যুটির সঙ্গে যতটা না আন্তর্জাতিক বিষয়াদির সম্পৃক্ততা তার চেয়ে অনেক বেশি বাংলাদেশের জনমত এবং অভ্যন্তরীণ রাজনীতি জড়িয়ে আছে।
[৮] ১৯৭২ সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারি ইসরাইল বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে চেয়েছিল। তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকার লিখিতভাবে ইসরাইলের স্বীকৃতির সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল।
[৯] ইসরায়েল ইস্যুতে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, বামপন্থী এবং ইসলামপন্থী দলের অবস্থানে কোন পার্থক্য নেই।
[১০] বাংলাদেশের এই অবস্থানে যে অদূর ভবিষ্যতেও কোন পরিবর্তন আসবে, তেমন সম্ভাবনা একেবারেই দেখছেন না বিশ্লেষকরা।
[১১] আশির দশকে বাংলাদেশের অনেক তরুণ ফিলিস্তিনিদের স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধেও গিয়েছিল।
[১২] পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, সরকার নৈতিকতার জায়গা থেকে ফিলিস্তিনি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের পক্ষে রয়েছে এবং থাকবে।ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের সাথে ইসরায়েলের সম্পর্কবিহীন যে পথ চলা, সেটা অব্যাহত থাকবে। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ