রাশিদ রিয়াজ : দেশটির প্রতিরক্ষা খাতে কোনো বিদেশি কোম্পানি শতভাগ বিনিয়োগ করতে পারে। এর মধ্যে ৪৯ শতাংশ বিনিয়োগ করা যায় অটোমেটিক রুটে। অর্থাৎ ওই পরিমাণ বিনিয়োগ করতে সরকারের অনুমতি লাগে না। ভারতের সরকার তা বৃদ্ধি করলো ৭৪ শতাংমে। এখন এ বিনিয়োগ করতে ভারত সরকারের অনুমতি লাগবে না। একইসঙ্গে ভারত সরকার প্রতিরক্ষায় বিদেশি বিনিয়োগ খতিয়ে দেখবে তা দেশটির জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষতি হবে কিনা। ২০১৮ সালে ভারত প্রতিরক্ষায় বিদেশি বিনিয়োগ সহজ করতে নিয়ম-কানুন শিথিল করে। বিদেশি কোম্পানিকে প্রতিরক্ষায় অটোমেটিক রুটে ৪৯ শতাংশ পর্যন্ত বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হয়। কোভিড মহামারীর মধ্যে দক্ষিণ এশিয়া থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহার হয়ে যাচ্ছে। কেবল ভারত থেকেই বিনিয়োগ সরে গেছে ১৬০০ কোটি মার্কিন ডলার। যা স্থানীয় মুদ্রায় এক লাখ কোটি রুপিরও বেশি। মার্কিন কংগ্রেসের রিপোর্ট বলছে এশিয়া থেকে বিপুল পরিমাণে পুঁজি সরে যাওয়ার ফলে অর্থনৈতিক মন্দার ছায়া হবে দীর্ঘতর। ইকোনমিক টাইমস
তবে কংগ্রেসের রিপোর্টে এও বলা হয়েছে তিনটি দেশ আন্তর্জাতিক মন্দা থেকে রক্ষা পেতে পারে। ভারত, চীন ও ইন্দোনেশিয়া। যদিও এই দেশগুলিতেও বিকাশের হার কমবে। মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যরা জানিয়েছেন, ইউরোপে জার্মানি, ফ্রান্স, ব্রিটেন, স্পেন ও ইতালিতে ৩ কোটি মানুষ সরকারি বেকার ভাতার জন্য আবেদন করেছেন। ২০২০ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকের রিপোর্ট বলছে, ইউরোজোনের অর্থনীতির বহর কমেছে ৩.৮ শতাংশ। ১৯৯৫ সালের পর থেকে আর কোনও ত্রৈমাসিকে অর্থনীতির এতদূর সংকোচন হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রে ২০২০ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে জিডিপি কমেছে ৪.৮ শতাংশ। ২০০৮ সালে বিশ্ব জোড়া মন্দার পরে সেদেশের অর্থনীতির হাল আর কখনই এত খারাপ হয়নি। মার্কিন কংগ্রেসের রিপোর্টে বলা হয়েছে, কোভিড মহামারীর ফলে বিভিন্ন দেশের সরকারের পক্ষে আর্থিক নীতি কার্যকর করা কঠিন হয়ে উঠেছে। বিনিয়োগকারীদের ঋণ পেতে সাহায্য করা ও অর্থনৈতিক কার্যকলাপ অব্যাহত রাখ প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে। এর ফলে নানা দেশের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে। অনেক দেশ জোর দিচ্ছে জাতীয়তাবাদের ওপরে। কোনও কোনও দেশ বলছে, আন্তর্জাতিক মহলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সংকটের মোকাবিলা করতে হবে।