ভূঁইয়া আশিক : [২] এই অর্থনীতিবিদ আরও বলেন, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি করবে, এতে আমাদের জানাবে কেন? ভারত আমাদের মুরব্বি, নাকি আমরা ভারতের মুরব্বি? ছোট দেশ হলেও নিজেদের মাথা উঁচু করে রাখতে হলে অন্যরা যেন আমাদের সমীহ করে, সে ধরনের কর্মকাণ্ড ও পলিসি থাকতে হবে।
[৩] ভারত না চাইতেও অনেক কিছু দিয়ে দিই, কিন্তু আমরা চাইলে কিছু পাই না। ফলে এদেশের মানুষের মধ্যে ভারতের ব্যাপারে অসন্তোষ বাড়ছে।
[৪] শুধু ভারতের কাছ থেকেই আমরা পেঁয়াজ কিনবো, এমন চিন্তা পরিহার করতে হবে। সম্পর্ক স্বাভাবিক থাকলে কিংবা আমাদের জন্য অর্থনৈতিকভাবে যুক্তিসঙ্গত হলে ভারত থেকেও পেঁয়াজ আমদানি করবো।
[৫] আমাদের বিকল্প ব্যবস্থাও রাখতে হবে। যেসব দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি সম্ভব সেখানে এলসি খোলার ব্যবস্থা আগে থেকেই করে রাখা উচিত ছিলো। তুরস্ক, পাকিস্তান, চীন, আফগানিস্তান, মিশর, এমনকি মিয়ানমার থেকেও পেঁয়াজ আমদানি করতে পারি। তাতে ভারতনির্ভরতা কমবে।
[৬] ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের এক সপ্তাহ আগে থেকেই দেশে পেঁয়াজের দাম বাড়ছিলো। ব্যবসায়ীরা তা আগে থেকেই জানতেন। বুঝতে পেরেই পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
[৭] বিশ্বের দেশের সরকারি পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভালো যোগাযোগ রাখেন ব্যবসায়ীরা। রপ্তানি বন্ধের মতো তথ্য তারা পেয়ে যান কোনো না কোনোভাবে।