আব্দুল্লাহ মামুন : [২] এই আন্তর্জাতিক সর্ম্পক বিশ্লেষক আরও বলেন, রোহিঙ্গা নিপীড়নের ব্যাপারে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর আনুষ্ঠানিক স্বীকারোক্তি রোহিঙ্গা ইস্যুতে নতুনমাত্রা যোগ হলো। নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গাদের নিয়ে যেসব আলোচনা ও প্রতিবেদন ইতোমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে, এই প্রথম এর সুফল পাওয়া গেলো।
[৩] এখন দুটি বিষয় স্পষ্ট করতে হবে। [ক] এই গণহত্যায় মিয়ানমারের সৈন্যরা আন্তর্জাতিক আদালতে রাজসাক্ষী হবে কিনা। এই সাক্ষ্য থেকে যদি তারা বিচ্যুত হয়, তাহলে সেটার গ্রহণযোগ্যতা থাকবে না। [খ] এখন যেহেতু দুজন সেনা সদস্যের স্বীকারোক্তি প্রকাশিত হয়েছে, আগামীতে হয়তো আরও সৈন্য আইসিসিতে (আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত) জবানবন্দি দিতে রাজি হবেন, যা আমাদের পর্যবেক্ষণ করতে হবে। কেননা আর্ন্তজাতিক আদালতে যেসব বিচার হচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশ তার অবস্থান পরিষ্কার করেছে।
[৪] নভেম্বরে মিয়ানমারের সাধারণ নির্বাচন। এর ফলে মিয়ানমার সরকার বিভিন্ন ধরনের কলাকৌশল সামনে নিয়ে আসতে চাইবে, সেই সর্ম্পকেও আমাদের সজাগ থাকতে হবে।
[৫] বর্তমান বাস্তবতায় ভারত ও জাপানের বড় আকারে সহযোগিতা পাওয়া গেলে চীনও মিয়নমারের উপর বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি করবে।