রাশিদুল ইসলাম : [২] ফ্রান্সের আদালতে সন্তানের মা হিসেবে দাবি করে স্বীকৃতি চেয়ে যিনি এই আবেদন করেন তিনি পুরুষ হিসেবে জন্মগ্রহণ করার পর তার স্ত্রীর গর্ভে শিশুটি জন্ম নেয়। ডেইলি মেইল
[৩] ফ্রান্সের উচ্চ আদালত বলছে ‘ট্রান্সজেন্ডার’ নারী কখনো অফিসিয়ালি মায়ের স্বীকৃতি পাবেন না। এমনকি দ্বিতীয় মা হিসেবেও নয়।
[৪] আদালতে আবেদনকারী পুরুষ হিসেবে জন্ম নিলেও ২০১১ সালে তাকে ফ্রান্স কর্তৃপক্ষ নারী হিসেবে স্বীকৃতি দেন।
[৫] ২০১৪ সালে তার স্ত্রী শিশুটির জন্ম দেন। কিন্তু আবেদনকারী নারী হিসেবে স্বীকৃতি পেলেও তার দেহ থেকে পুরুষের গোপনাঙ্গ অপসারণ করেননি। এখন আদালতের কাছে তিনি বাবা হিসেবে নয় শিশুটির দ্বিতীয় মা হিসেবে স্বীকৃতি চান। কিন্তু আদালত তার এ আর্জি নাকচ করে দিয়েছে।
[৬] মন্টপিলার শহরের আদালত বলছে আবেদনকারী শিশুটির ‘বায়োলজিক্যাল প্যারেন্ট’ হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন। কিন্তু আবেদনকারী বলছে এটি নিয়ে তিনি ফের ইউরোপের মানবাধিকার আদালতে আপিল করবেন। তার আইনজীবী ক্লেলিয়া রিচার্ড বলছেন আদালতের রায় কলঙ্কজনক ও এতে তার মক্কেল মা হবার সুযোগ হারিয়েছেন।
[৭] মানবাধিকারকর্মী ম্যাথিউ স্টকলেট বলেন, ফ্রান্সের আইনে আবেদনকারী নারী হিসেবে স্বীকৃতি পেলেও তিনি একই সঙ্গে শিশুটির বাবা হিসেবেও পরিচিত পাচ্ছেন যদিও তা অস্বচ্ছ থেকে যাচ্ছে।
[৮] গে ও লেসবিয়ান অভিভাবকদের এ্যাসোসিয়েশন এপিজিএল’র বার্টান্ড পেরিয়ার বলছেন আদালতের এ রায় অভিভাবক হিসেবে সমকামিদের সুযোগকে আরো কঠিন করে তুলল।
আপনার মতামত লিখুন :