স্পোর্টস ডেস্ক : [২] গত বছর ২৯ অক্টোবর এক বছরের স্থগিত নিষেধাজ্ঞাসহ দুই বছরের জন্য সব রকমের ক্রিকেটীয় কার্যক্রম থেকে সাকিব আল হাসানকে নিষিদ্ধ করেছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি)। তিনবার জুয়াড়িদের কাছ থেকে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পেলেও আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী ইউনিটকে না জানানোয় এই শাস্তি দেয়া হয় বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ককে।
[৩] নিষিদ্ধ হওয়ার পর টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে নতুন অধিনায়ক নিয়োগ দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। টেস্ট দলের নেতৃত্ব পান মুমিনুল হক, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ওপর আস্থা রাখে বোর্ড। যদিও করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বেশিভাগ খেলা বাতিল হয়ে যাওয়ায় তিন অধিনায়কই নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণের যথেষ্ট সুযোগ পাননি।
[৪] এসবের মাঝে শেষ হয়ে যাচ্ছে সাকিবের এক বছরের নিষেধাজ্ঞা। ফলে এ বছরের ২৯ অক্টোবর থেকেই মাঠে ফিরতে পারবেন এই অলরাউন্ডার। সব ঠিক থাকলে আসন্ন শ্রীলঙ্কা সিরিজেই বাংলাদেশের হয়ে ফের মাঠে নামতে যাচ্ছেন তিনি।
[৫] এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে নির্বাসন কাটিয়ে মাঠে ফিরেই অধিনায়কত্ব পাচ্ছেন সাকিব? কেননা নিষিদ্ধ হওয়ার আগে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্বে ছিলেন সাকিব। নাকি মুমিনুল এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদেই আস্থা রাখবে বোর্ড। এসব প্রশ্নের উত্তর কিছুটা হলেও দিয়েছেন বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
[৬] ক্রীড়া সাংবাদিক নোমান মোহাম্মদের ইউটিউব চ্যানেলে নাজমুল হাসান জানিয়েছেন, তিন ফরম্যাটেই অধিনায়ক হতে পারেন সাকিব। এই ক্ষমতা এবং গুণাবলী আছে তার। তবে বিসিবি ফরম্যাট ভিত্তিক অধিনায়ক রাখার ভাবনায় আছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। যে জন্য ফরম্যাট অনুসারে দলও সাজাতে চায় বোর্ড।
[৭] বোর্ড প্রেসিডেন্ট বলেন, সাকিব তিন ফরম্যাটেই হতে পারে। ওর এই ক্ষমতা আছে, কিন্তু সাকিব বদলে গেছে। সে কিন্তু আগের সাকিব নেই। আমি বলতে চাই আমার ধারণা ভুলও হতে পারে, সে সব খেলোয়াড়দের সঙ্গে যতটা মিশতো তার চেয়ে বেশি মিশে। আগে সাকিব মাঠে যতটুকু সম্পৃক্ত থাকতো এখন তার চেয়ে কম হতে পারে। এই জিনিসটা বা সম্পর্কটার উন্নতি হয়েছে। এতো বছরে। ওকে আমি আলাদা মানুষ হিসেবে ধরি এখন। ওকে দলের সবাই গ্রহণ করে নেয়। এটা অধিনায়ক হতে হলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ওর সব গুন আছে তিন ফরম্যাটেরই অধিনায়ক হওয়ার জন্য। - ক্রিকফ্রেঞ্জি
আপনার মতামত লিখুন :