রাশিদুল ইসলাম : [২] গত ৫ মাস ধরে লাদাখ সীমান্তে চীন ও ভারতের সেনা মোতায়েন ও উত্তেজনার প্রেক্ষিতে মস্কোতে দু’পক্ষে বৈঠকে সীমান্ত রেখা বরাবর স্থির অবস্থানে সেনা রাখার সিদ্ধান্ত হলেও বাস্তবে তা হয়নি। কূটনৈতিক উদ্যোগ ব্যর্থ হওয়ার পর বরং ভারী অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বোমারু বিমান মোতায়েন করছে দুই পক্ষই। স্পুটনিক
[৩] নয়াদিল্লির দাবি নতুন করে আরো ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে প্যাঙ্গন লেকের দক্ষিণে। এছাড়া দেড়’শ জঙ্গি বিমান ও ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপের জন্যে ক্ষেপণাস্ত্র বসিয়েছে চীন। চীনের মোট সেনা মোতায়েন ৫২ হাজার ছাড়িয়েছে।
[৪] এবার সমুদ্রে চীনকে চ্যালেঞ্জ জানাতে একমাসের নৌমহড়া ‘ট্রপেক্স’ শুরু করতে যাচ্ছে ভারত। অক্টোবরেই যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন নিয়ে এ প্রস্তুতিতে যোগ দেবে নৌসেনার ওয়েস্টার্ন কম্যান্ড ডিফেন্স অব গুজরাত এবং ইস্টার্ন ন্যাভ্যাল কম্যান্ড অপারেশনাল রেডিনেস এক্সারসাইজ।
[৫] এবছরেই জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে মহড়া হতে পারে। জলপথে নিউক্লিয়ার অ্যাটাক সাবমেরিন, যুদ্ধজাহাজ সাজিয়ে, আকাশপথে কমব্যাট ফাইটার এয়ারক্রাফ্ট উড়িয়ে ভারত চীনকে সমরসজ্জা দেখাবে।
[৬] ভারতীয় নৌবাহিনীর চিফ অ্যাডমিরাল অরুণ প্রকাশ বলেছেন, চীন যেভাবে সমুদ্রপথেও আগ্রাসন দেখাচ্ছে তাতে ভারতের শক্তি প্রদর্শন করা খুবই দরকার। ট্রপেক্স মহড়া হবে ভারতের সেই চ্যালেঞ্জ। এর বৈশিষ্ট্য হল, সমুদ্রপথে যেমন আধুনিক রণতরী সাজানো হয়, তেমনি নিউক্লিয়ার অ্যাটাক সাবমেরিনও তাদের শক্তি প্রদর্শন করে। পাশাপাশি, আকাশপথে চক্কর কাটে বিমান সেনা ও নৌসেনার জঙ্গি বিমান।