বিশ্বজিৎ দত্ত: [২] তবে এডিবি আশংকাও করেছে বাংলাদেশ যে দেশগুলোতে রপ্তানি করে তাদের সঙ্কট দীর্ঘায়িত হলে এই হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব নাও হতে পারে। এডিবির মতে উৎপাদনের গতি বাড়ায় এবং বাংলাদেশি পণ্যের ক্রেতা দেশগুলোতে প্রবৃদ্ধি বাড়তে থাকায় বাংলাদেশের অর্থনীতি ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। ২০২১ সালে মূল্যস্ফীতিকে ৫ দশমিক ৫ শতাংশে রাখতে পারবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
[৩] বাংলাদেশে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন পারকাশ বলেন, মহামারীর ব্যবস্থাপনা ও স্বাস্থ্যখাতে বিপুল চাপের পরও সরকার যথাযথ প্রণোদনা ঘোষণা এবং সামাজিক নিরাপত্তার আওতা বাড়িয়ে, দারিদ্র ও ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর মৌলিক চাহিদা পূরণের ব্যবস্থা নিয়ে অর্থনীতিকে ভালোই সামাল দিয়েছে।
[৪] তিনি মনে করে করোনাভাইরাসের টিকা যদি আগে পাওয়া যায় এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার ওপর যে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, তা যদি অব্যাহত রাখা হয়, তা অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের এই ধারাকে টেকসই করতে ‘সহায়ক হবে’ বলে মনে করছেন এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর।
[৫] কান্ট্রিডিরেক্টর বলেন “এই সঙ্কট সম্পদের বণ্টন, রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দক্ষতা উন্নয়ন এবং সামাজিক সুরক্ষা জোরদারে আরও সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার সুযাগও তৈরি করে দিয়েছে। এসব বিষয়ে বাংলাদেশকে আরও সহযোগিতা করতে এডিবি সরকারের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।”
আপনার মতামত লিখুন :