সুজন কৈরী: [২] ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের (৪৯) বিরুদ্ধে রাজধানীর রমনা থানায় অর্থপাচার আইনে মামলা দায়ের করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মামলা নং- ১৪।
[৩] রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টার থেকে এ তথ্য জানানো হয়। বিকেলে মামলাটি দায়ের হয়েছে বলে জানা গেছে। মামলাটি ২০১২ সালের মানিলন্ডারিং আইনের ৪(২) ধারায় দায়ের করা হয়।
[৪] সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জিসানুল হক বলেন, কাকরাইলের বাসায় অবস্থান করে অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অর্জিত ১৯৫ কোটি টাকা সহযােগী মাে. এনামুল হক আরমানের (৫৬) সহায়তায় সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় পাচার করায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
[৫] মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট রাজধানীর মতিঝিল, ফকিরাপুল, পল্টন ও কাকরাইল এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে অবৈধ অর্থ উপার্জন করেছেন। তার উপার্জিত অবৈধ অর্থের মধ্যে ১৯৫ কোটি টাকা তিনি তার সহযোগী আসামি আরমানের সহায়তায় সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া পাচার করেছেন।
[৬] এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, সম্রাট ২০১১ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ৯ আগস্ট পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় তিনবার, দুবাইতে দুবার এবং হংকংয়ে একবার যাতায়াত করেছেন। আর তার অপরাধকর্মের সহযোগী আরমান ২০১১ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ১৮ মে পর্যন্ত সিঙ্গাপুরের ৩৫ বার যাতায়াত করেছেন।
[৭] এদিকে ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে জ্ঞাতআয়বহির্ভূত অর্থ উপার্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। গত বছরের ১২ নভেম্বর দুদকের করা মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আনা হয়। ওই মামলায় গত ১৮ আগস্ট আদালতে দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশ ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের স্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে ৬ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সহযোগী আরমানসহ সম্রাটকে গ্রেফতার করে র্যাব।