শিমুল মাহমুদ: [২] প্রাচীনকালে থেকে সনাতন পদ্ধতিতে চলছে এ চাষ। নেই কোনো প্রশিক্ষন। চাষিরা বলছেন, করোনার কারণে ঠিকটাক পরিচর্যা না করতে পারায় এবার ফলন ভালো হয়নি। কৃষি বিভাগের সয়ায়তা পেলে ফলন আরো ভালো হতো।
[৩] খাগড়াছড়ির কৃষি কর্মকর্তা জানান, চলতি মৌসুমে ২ হাজার ২শ’ ৫০ হেক্টর পাহাড়ে জুম চাষ হয়েছে। প্রত্যেক বছর পার্বত্য তিন জেলা রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে বিস্তর জুমচাষ হয়।
[৪] পৌষ ও মাঘ মাসে পাহাড়ের ঢালে জঙ্গল সাফ করেন জুম চাষিরা। ফাল্গুন-চৈত্রে আগুনে পুড়িয়ে প্রস্তুত হয় জুমক্ষেত। বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মাসে পোড়ানো জুমের মাটিতে সুচালো দা দিয়ে গর্ত খুঁড়ে একসঙ্গে ধান, তুলা, কাউন, ভুট্টা, ফুটি, চিনার, শিম, যব ইত্যাদি বীজ বপন করেন। জুমজুড়ে ছিটানো হয় তিল, মরিচ, ধনেপাতাসহ ইত্যাদি বীজ।
[৫] প্রায় ৮-৯ মাস পরিশ্রম শেষে ভাদ্র ও আশ্বিন মাসে ঘরে ওঠে পাকা ধান। তার আগে আষাঢ় ও শ্রাবণ মাসেই জুমের ফসল তোলা শুরু হয়। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ