মো.ইউসুফ মিয়া : [২] রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার হাবাসপুরে জন্ম গ্রহন করেন। কাকন শুরেুতেই পড়াশুনা করে জীবনকে নতুন রুপে সাজাতে চেয়ে ছিলেন। সেটা আর হলোনা কাকনের জীবনে হঠাৎ করে শরীরে ঠান্ডা জ্বর কাশি হয়ে একটু অসুস্থ হয়ে পরে।কোন প্রকার ঠান্ডা জ্বর ভালো হয় না কাকনের করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা হয়। অবস্থার উন্নতী না হলে তাকে দ্রুত সময়ের মধে ঢাকার হাসপাতালে রেফার্ড করেন হাসপাতাল কর্তপক্ষ।
[৩] কাকনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নেওয়া হলে কিছুক্ষন পরে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন। কাকন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের শিক্ষার্থী এমবি শেষ সেমিষ্টারের অধ্যায়নরত ছিলেন। কাকনের জীবন গড়তে শুরু করেন নিজের গ্রাম থেকে ২০১১- সালে হাবাসপুর কে.রাজ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করে ২০১৩ ডঃ কাজী মোতাহার হোসেন কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন।
[৪] এদিকে অসুস্থ হওয়ার ৪দিন আগে কাকন মিয়ার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ‘জ্বর!’ লিখে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। এটাই ছিল তার জীবনের সর্বশেষ ফেসবুক স্ট্যাটাস এবং এর চারদিনের মাথায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার হাসপাতালে নিয়ে হেলে চিকিৎসক কাকনকে মৃত ঘোষনা করেন। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পরলে এলাকায় সর্বস্তরের জনগনের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে ।
[৫] রাজবাড়ীতে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে ২৪ মারা গেছে।এবং ১হাজার ৯৯৫জন ইতিমধ্যে সুস্থ হয়েছেন। এছাড়া ১৯জন বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি এবং৮১৯ জন হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীর রয়েছে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ