দেবদুলাল মুন্না: [২] যুক্তরাষ্ট্রে ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বরে টুইন টাওয়ারে হামলা হয়েছিল। সেদিন উগ্র সন্ত্রাসীরা চারটি যাত্রীবাহী বিমান ছিনতাই করেছিলো, যার দুটি আঘাত করে নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ভবনে, একটি ওয়াশিংটনের পেন্টাগনে, এবং আরেকটি পেনসিলভানিয়ার একটি মাঠে বিধ্বস্ত হয়। এই ভয়াবহ হামলায় সব মিলিয়ে প্রায় ৩ হাজার লোক নিহত হয়। এ উপলক্ষে গত ১৮ বছরই নিউইয়র্কে গ্রাউন্ড জিরোতে স্মরণ সমাবেশ হয়েছে। বুকার জয়ী অরুন্ধতী রায় এ দিন উপলক্ষ্যে গতকাল কাউন্টার পাঞ্চকে দেওয়া ইন্টারভিউতে এ কথাগুলো বলেন।
[৩] তিনি বলেন, স্যামুয়েল হান্টিংটন নামের এক মার্কিন বুদ্ধিজীবি ওইবছর একটি তত্ত্ব হাজির করলেন, যেটি হলো , ক্ল্যাশ অব সিভিলাইজেশন। এ নামে বইও আছে। এ বইতে বলা হয় , ‘নিজ’ ও ‘অপর’। এখানে নিজ বলতে আমেরিকা ও ইউরোপ। অন্যদিকে আদার মানে মুসলিমসহ পিছিয়ে পড়া জাতি। রেসিজমকে এই তত্ত্ব দিয়েই প্রতিষ্ঠা করা হয়। এরই জেরে এ হামলা ঘটেছে।
[৪] তার মতে, এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দেশে দেশে নির্যাতন চালিয়েছে বিশেষ করে মুসলিমদের ওপর। এতো বড়ো হামলার পরও তাদের চরিত্র পাল্টায়নি। কালোসহ বিভিন্ন জাতির প্রতি তাদের বিদ্বেষই প্রকাশ করে যাচ্ছে।
[৫] এ দিন নিহতদের স্বজনেরা জড়ো হয়ে গ্রাউন্ড জিরোতে স্থাপিত স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদর্শন করতেন। ভিকটিমদের নাম পাঠ করা হতো স্বজনের মাধ্যমে। কিন্তু এবার সবকিছুই সীমিত আকারে হচ্ছে করোনা মহামারির পরিপ্রেক্ষিতে। সকাল সাড়ে ৮টায় শুরু হবে অনুষ্ঠানে। ওই হামলায় নিহত হন ৬ বাংলাদেশি।
আপনার মতামত লিখুন :