তন্ময় আলমগীর: [২] কিশোরগঞ্জের ঘরের সিঁধ কেটে ৬ বছরের শিশুকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। গুরুতর অসুস্থ শিশুটিকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
[৩] সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার সাঁতারপুর গ্রামে এ নৃশংস ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত আলী হোসেনকে (৫০) ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
[৪] জানা গেছে, নিজের ঘরে বাবা-মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়েছিল ৬ বছরের ছোট্ট শিশুটি। ভোরে ঘরের সিঁদ কেটে ঘুমন্ত শিশুটিকে তুলে নেয় একই গ্রামের দাদার বয়সী আলী হোসেন। ধর্ষণের পর শিশুটিকে ফেলে রাখা হয় বাড়ির পাশের একটি ধানক্ষেতে। সকালে মুমূর্ষু অবস্থায় শিশুকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। এমন ঘটনায় হতবিহ্বল শিশুটির মা-বাবাসহ স্বজনরা।
[৫] পুলিশ জানায়, রোববার রাতে শিশুটিসহ অন্য তিন সন্তানকে নিয়ে নিজের ঘরে ঘুমিয়েছিলেন বাবা-মা। সোমবার ভোরে ঘুম থেকে উঠে বসতঘরের তিন দিকে সিঁদ কাটা দেখতে পান। এ সময় শিশুটিকে বিছানায় পাওয়া যায়নি। খোঁজাখুঁজির পর বাড়ির পাশে একটি ধানক্ষেতে মৃতপ্রায় অবস্থায় পাওয়া যায় শিশুটিকে। এ সময় সেখান থেকে পালিয়ে যেতে দেখেন একই গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে আলী হোসেনকে। আলী হোসেন শিশুটির পাড়া সম্পর্কিত দাদা। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
[৬] কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. মো. হিবরুল বারী জানান, শিশুটি বর্তমানে হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় এখনও সে আশঙ্কামুক্ত নয়।
[৭] করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মমিনুল ইসলাম জানান, ঘটনার পরপরই অভিযুক্তকে আটক করতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। অবিলম্বে ধর্ষককে আটক করা হবে বলেও জানান তিনি। সম্পাদনা : হ্যাপি