শাহীন খন্দকার : [২] বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নিউরোসার্জারি বিভাগের উদ্যোগে সোমবার ইন্টারন্যাশনাল স্পাইনাল কর্ড ইনজুরি দিবস উপলক্ষে সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য এ কথা বলেন।
[৩] তিনি বলেন, বর্তমান প্রশাসন চিকিৎসা সেবা, চিকিৎসা শিক্ষা ও গবেষণাকে এগিয়ে নিতে সব ধরনের সহায়তা করে যাচ্ছে। মেরুরজ্জুর সামান্য আঘাতে একজন মানুষের জীবন অচল হয়ে যায়। প্রতিবন্ধী হয়ে যায়, কর্মক্ষমতা হারিয়ে সমাজ ও পরিবারের বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। তেমনি সড়ক দুর্ঘটনা, অল্প পানিতে ঝাঁপ দেয়াসহ যেসব কারণে মানুষ স্পাইনাল কর্ড ইনজুরির শিকার হয়ে থাকে, সে বিষয়ে জনসচেতনতা আরো বৃদ্ধি করতে হবে।
[৪] স্পাইনাল কর্ড ইনজুরির ক্ষেত্রে প্রতিরোধই মুক্তির সর্বোত্তম পদ্ধতি। স্পাইনাল কর্ড ইনজুরির চিকিৎসায় স্টেমসেল থেরাপিসহ আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত সকল ধরণের চিকিৎসা ও গবেষণায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রদান করা হচ্ছে বলে জানান ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।
[৫] সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন নিউরোসার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা.এ টি এম মোশারেফ হোসেন। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে স্টেমসেল থেরাপি প্রয়োগ করে অনেকেই সুস্থ হয়েছেন।
[৬] সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন কালে নিউরোসার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সুকৃতি দাস বলেন, । স্পাইনাল কর্ডে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে যেসকল রোগীরা সম্পূর্ণ প্যারালাইজড হয়ে যায় সেকল রোগীদের চিকিৎসা সেবায় স্টেমসেল থেরাপি একটি অত্যাধুনিক পদ্ধতি। এই চিকিৎসাসেবা ব্যয়বহুল নয় এবং সাধারণ ব্যবস্থাতেই এটা চালু করা সম্ভব। বাংলাদেশে সকল মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ সম্ভাব্য সকল মেডিক্যাল শিক্ষা ও চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানে এটা চালু করা সম্ভব হলে অনেক দরিদ্র রোগীসহ কর্মক্ষম মানুষের সামাজিক ও স্বাস্থ্যগত শারীরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ