শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ জনগণকে সংগঠিত করে চূড়ান্তভাবে বিজয় অর্জন করতে হবে: মির্জা ফখরুল ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের  ◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী 

প্রকাশিত : ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১০:১০ দুপুর
আপডেট : ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১০:১০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] কে হচ্ছেন শেরপুর পৌর-পিতা, নবীন-প্রবীণে সরব সোশ্যাল মিডিয়া

তপু সরকার : [২] আগামী ৩০ ডিসেম্বর সাংবিধানিক নিয়ম-অনুযায়ী শেরপুর পৌরনির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। কতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এরমধ্যে শেরপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি সহ ৭জন কে পাওয়া যায় ।

[৩] নির্বাচন ৪ মাস বাকী থাকলেও, স্যোসাল মিডিয়ায় তরুন প্রজন্ম এবং প্রবীনদের আলোক সজ্জায় সজ্জিত পোষ্টার, ছবি, ব্যানার আর প্রচার প্রচারনায় ড্রাম নিয়ে জানান দিচ্ছেন প্রার্থীরা । আবার কেহ্ উন্নয়য়নের ফুলের জুড়ি নিয়ে জানান দিয়ে যাচ্ছেন এ পযর্ন্ত যাদের প্রার্থী হিসেবে পাওয়া যাদের দেখা যায় তাদের মধ্যে বর্তমান মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, এড্ ভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার , মো. আনিসুর রহমান, আনোয়ারুল হাছান উৎপল, আরিফ রেজা, এড্ ভোকেট আব্দুল মান্নান, মো. আবু রায়হান (রুপন)। তবে একটি বিষয় লক্ষ্যনীয় এবারের প্রার্থীদের মধ্য তরুণদের সমাগম বেশী ।

[৪] ১. বর্তমান মেয়র আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন ... ২০০৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী এড্ ভোকেট আব্দুল মান্নান ও বিএনপি বিদ্রোহী প্রার্থী প্রয়াত আব্দুর রাজ্জাক আশীষ আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া লিটনের মুখোমুখি হয়ে প্রায় ৫ হাজার ভোটে পারজিত করেন ।

[৫] সে-সময় মেয়াদ পুর্তির কিছু আগেই দেশে ফকর উদ্দিন ও মঈন উদ্দিন সরকারের সময় আরো ৩ বছর পেয়ে প্রায় ৮ বছর এবং আগামী ফেবেুয়ারী ২০ সালে মেয়াদ পূর্ন হলে, আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন সাহেবের ১৩ বছর পৌর পিতা হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহন করবেন ।

[৬] এরই মধ্য দ্বিতীয় মেয়াদে পৌর-মেয়র হওয়ার পর অক্লান্ত পরিশ্রম করে পৌরবাসীর । বিশেষ করে শহরের পরিস্কার পরিছন্ন, রাস্তাঘাট ড্রেন ,কালভার্ট ডাষ্টবিন নির্মান জলাবদ্ধতা পয়নিশ্কাশন, মহিলাদের আত্বকর্মস্থান সৃষ্টিও প্রশিক্ষন । একটি আধুনিকায়ন নগর-গঠনের জন্য শহরের সৌন্দয্য বৃদ্ধি ,মাদক বিরোধী কাজে সহায়তা এবং করোনায় নিজ-উদ্দ্যেগে শহরের অসহায় মানুষের সহায়তা প্রদান, নিজ নিজ বাড়ীতে ত্রান পৌছে- দিয়ে আলোচনায় এসেছেন । ছাত্র জীবন থেকেই রাজনিতিতে তিনি ছিলেন এক অকোতভয় বঙ্গবন্ধুর আদর্শের নৈতিকতায় একজন শান্তপ্রিয় সৈনিক । এবারও তিনি নৌকার প্রতিক পেতে আশাবাদী এবং সকল কে নিয়ে পূর্নরায় পৌর-বাসীর খেদমত করতে অঙ্গিকার বদ্ধ ।

[৭] ২. এদিকে সাবেক ছাত্রনেতা আওয়ামীলীগের দুঃসময়ের কান্ডারী, ৯০ দশকের ছাত্র আন্দোলনের লড়াকু সৈনিক,তিনি দীর্ঘদিন থেকেই পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অসহায় ,সাধারন মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশে,আওয়ামীলীগের দূর্যোগ সময়ে শৈরাচার-এরশাদ বিরোধী, খালেদা বিরোধী আন্দোলনের সময় রাজপথে ছিল তার সক্রিয় ভূমিকা। আওয়ামীলীগের তথ্যবিষয়ক সম্পাদক, আইজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাবেক শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি, এড্ ভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার । মধ্য-বয়সী হলেও মনে প্রানে এখনো তিনি তারুণ্যর অহংকার নিয়েই- পোষ্টার ব্যানার ও স্যোসাল মিডিয়ায় রঙবেরঙ্গের প্লেকার্ড এলাকায় বিভিন্ন সংঘঠন ও তরুনদের নিয়ে মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন নৌকার টিকিট পাওয়ার আশায় ।

[৮] ৩. মো. আনিসুর রহমান,(আনিস)শেরপুর জেলা-আওয়ামীলীগের শিল্পবিষয়ক সম্পাদক ।তিনি আওয়ামী পরিবারের একজন নিবেদিত প্রান। তিনি শেরপুর জেলায় আওয়ামী প্রতিষ্ঠিত সভাপতি মরহুম এড্ ভোকেট আব্দুস ছামাদ সাহেবের ভাতিজা। মুক্তিযোদ্ধের স-পক্ষপরিবারের সন্তান।, সাংস্কৃতিমনা,অতি-সহজে মানুষ তাকে কাছে ডেকে নেয় ।

[৯] পেশায় একজন গার্সেন্স ব্যবসায়ী, তিনি সদালোপী ভদ্র মিষ্টভাসী একজন অকুত-ভয় দানবীর। বয়সে তরুন তিনি তার সাধ্যমত মানুষ কে নির্দিদায় সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। তিনি নবীনগরের বাসীন্দা হলেও কোভিট-১৯ এর সময় জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় সতর্স্ফুত-ভাবে অসহায় কর্মহীন মানুষদের সহযোগিতা হাত বাড়িয়ে সূনাম কুড়িয়ে মানুষের ভালবাসা অর্জন-করেছেন। তিনিও শেরপুর পৌর নির্বাচনে একজন ক্লিন-ইমেজদারী প্রার্থীতা জানান দিয়েছেন ।

[১০] ৪. আনোয়ারুল হাছন( উৎপল) সাবেক সফল শেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি একজন শিক্ষবীদ এবং শেরপুরের সুনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান- নবারুন শিক্ষা-পরিবার- এবং লোপা-বিপ্লব মেমোরিয়াল একাডেমির চেয়ারম্যান। তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী ওবটে। রয়েছে তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা-প্রতিভা এবং নিজস্ব বলয়। যার সাথে রয়েছে সাধারন মানুষের ভালবাসা । নেতাকর্মী বেষ্ঠিত গুনাগুন-। তিনিও নিঃস্বার্থভাবে মানুষের বিপদে আপদে হাত বাড়িয়ে দেন। তিনি শেরপুর পৌর সভার সাবেক কমিশনার মো. আব্দুল হাই সাহেবের ছেলে, চাচা ডা. এম এ বারেক তোতা শেরপুর জেলা ,বি এম এর সভাপতি। তিনি ও দীর্ঘদিন রাজনৈতিক সংষ্পশে থেকে শেরপুর পৌর-সভা নির্বাচনে নৌকার টিকিট পেলে সফল হবে বলে আশাবাদী ।

[১১] ৫. আরিফ রেজা, তিনি অত্যান্ত সাহসী এবং মেধা-সম্পন্ন জ্ঞানের অধিকারী । তিনি দির্ঘদিন থেকে শেরপুর জেলা ট্রাক ট্র্যাংলড়ী শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি ও আন্ত জেলার নেতা । দির্ঘদিন থেকে এ-শ্রমিক সংগঠনটি চালিয়ে আসছেন। তিনিও আওয়ামী পরিবারের সদস্য, বাবা প্রয়াত সেলিম রেজা আওয়ামী সংগঠনের একজন সক্রিয় সংগঠক ছিলেন বোন-এড্ ভোকেট ফাতেমা-তুজজোহুরা শ্যামলী সাবেক সংরক্ষিত আসনের এম পি । আরিফ রেজা একজন সফল ব্যবসায়ী এবং শ্রমিক নেতা । তিনি আশাবাদী , নৌকার টিকিট পাওয়ার জন্য জোর লবিং করছেন ।

[১২] ৬. এড্ ভোকেট মোঃ আব্দুল মান্নান, শহর বিএন পির আহাবায়ক । সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র শেরপুর পৌর-সভা,। তিনি বি এন পির নিবেদিত প্রান, গত ২০০৪ সালের পৌর নির্বাচনে বিএনপি মনোনিত প্রার্থী হলেও প্রয়াত আব্দুর রাজ্জাক আশীষ বি এন পির( বিদ্রোহী) প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করলে, এড্ ভোকেট মোঃ আব্দুল মান্নান, পরাজিত হয়। তবে এবারও তিনি বি এন পি থেকে মেয়র হিসেবে টোকেন পাওয়ার জন্য লবিং করে যাচ্ছেন। তিনি ও আশাবাদী , দলীও মনোনয়ন পেলে বিজয়ের মালা ছিনিয়ে আনবেন বলেও আশাবাদী ।

[১৩] ৭. মো. আবু রায়হান ( রুপন) সাবেক জেলা ছাত্র দলের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক শেরপুর জেলা যুবদল, বতর্মানে জেলা বি এন পির সাংগঠনিক সম্পাদক ।

[১৪] আবু রায়হান (রুপন) বি এন পির একনিষ্ঠ একজন কর্মী । আওয়ামীলীগের ১২ বছরে প্রায় ৪০/৫০ টি মামলায় আসামী হয়েও ..বি এন পির- আদর্শ থেকে বিন্ধু পরিমান পিচ..পা হয় নি সে। জেল, জুলুম ঘাত, প্রতিঘাত, পেরিয়ে .১২ বছরে কত যে জেলের ঘানী টানতে হয়েছে.তার এর পরও সে বি এন পি. জিয়ার আদর্শ নিয়েই এখনো মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি আগামী ৩০ ডিসেম্ববর ২০ সালে শেরপুর পৌর সভায় একজন মেয়র হিসেবে নির্বাচনে প্রার্থীতার জানান দিয়েছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়