সিরাজুল ইসলাম: [২] ফ্রান্সের সেন্ট লরেন্ট বুটিক থেকে অস্ট্রেলিয়ার এক নারী বিলাস বহুল ব্যাগটি আমদানি করেন। পার্থ সীমান্তে অস্ট্রেলিয়ার সীমান্তরক্ষী বাহিনী এটি জব্দ করে। বিবিসি
[৩] দেশটিতে কুমিরের চামড়ার পণ্য প্রবেশ বৈধ হলে বিপদাপন্ন বন্যপ্রাণীর ব্যবসার কনভেশন (সিআইটিইএস) কঠোরভাবে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। ওই নারী ফ্রান্স থেকে দেশে পন্য আনার অনুমতি ঠিকই নিয়েছেন; কিন্তু সিআইটিইএস’র অনুমতি নেননি।
[৪] কুমিরের চামড়ার ব্যাগ আমদানী অস্ট্রেলিয়ায় বৈধ; কিন্তু এ জন্য ৭০ অস্ট্রেলিয় ডলার পরিশোধ করতে হয়। দেশটির পরিবেশবাদীরা বলছেন, এ জন্য চড়া মূল্য দিতে হবে। তারা নীতি সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন। কৃষি, পানি ও পরিবেশ বিভাগ বলছে, এরই মধ্যে ওই নারীর পকেট থেকে ২৬ হাজার ৩১৩ অস্ট্রেলিয় ডলার (১৯ হাজার মার্কিন ডলার) বের হয়ে গেছে। এ কারণে তারা আর কোনও পদক্ষেপ নেবে না।
[৫] অস্ট্রেলিয়ায় বন্যপ্রাণীর ব্যবসা অপরাধ এবং এ জন্য ১০ বছরের জেল এবং দুই লাখ ২২ হাজার ডলার জরিমানার বিধান রয়েছে।
[৬] দেশটির পরিবেশমন্ত্রী সুশান লি বলেন, বিধিনিষেধ থাকায় আমরা অনলাইনে কী কিনছি, সে বিষয়ে আরও সচেতন হওয়া দরকার। কারণ এসব পন্য তৈরিতে প্রাণীর উপর নিষ্ঠুরতা চালানো হয়। দেশ থেকে কী বাইরে যাচ্ছে এবং কী আসছে, সে বিষয়ে আরও কঠোর নজরদারি করছে সরকার। আর এটা করা হচ্ছে বন্যপ্রাণীর অবৈধ ব্যবসা বন্ধের লক্ষে।