শাহীন খন্দকার: [২] সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোভিড কন্ট্রোল ইউনিটের যুগ্মসচিব ও এনসিডিসি প্রোগ্রাম ম্যানেজার-২ ডা. মো. রেজাওয়ানুল করিম শামীমের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, একটি জাতীয় পত্রিকায়। ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সরকারি গাড়ির অপব্যবহার, নারী সহকর্মীদের উত্ত্যক্তকরার। তিনি অফিস রোমেই নারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে সর্ম্পকে জড়ান এমন অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
[৩] এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহা-পরিচালক (প্রশাসন) নাসিমা সুলতানা বলেন,স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে সর্ব প্রথমে অধিদপ্তরের জানার কথা। কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কিছুই জানে না। এমনকি ভুক্তভোগীও অধিদপ্তরকে কোনো অভিযোগ করেননি। কিন্তু একটি পত্রিকা এ নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করেছে, এটি খুবই হতাশা জনক বিষয়! তবে আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো।
[৪] এদিকে অভিযোগকারী বদলি হয়ে যাওয়া নারীর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, আমি কোথাও কোনো অভিযোগ করিনি। আমার জুনের ৪ তারিখে প্রোমোশন হয়েছে। অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন ) আমাকে ৩০ জুন বর্তমান কর্মস্থল মানিকগঞ্জে বদলি করেন। আমি এখন মানিকগঞ্জে কর্মরত আছি। তিনি বলেন, সমাজে ভালো মানুষদের সামাজিক ভাবে হেয়ও করার লক্ষ্যে নারী ঘটিত প্রপাকাণ্ড ছড়িয়ে, তার সামাজিক অবস্থান নষ্ট করার জন্য এ ধরনের সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে বলে আমি মনে করি।
[৫] ডা. মো. রেজাওয়ানুল করিম শামীম জানান, দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার রির্পোটার কর্তৃক যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, এ তথ্যগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা। কারণ এনসিডিসি কার্যক্রমে কোনো নারী কর্মকর্তাই কাজ করেন না। পত্রিকাটি তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও অশালীন সংবাদ পরিবেশন করে, আমাকে পারিবারিক, সামাজিক ও পেশাগত মর্যদার ক্ষুন্ন করেছে। আমি ব্যারিষ্টারের সঙ্গে কথাও বলেছি, প্রয়োজনে প্রেস কাউন্সিলে মামলা করব, কেন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে।