লিহান লিমা: [২] গত ২৩ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনের কেনোসাতে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জ্যাকব ব্লেককে যৌন হয়রানির একটি মামলায় গ্রেপ্তারের সময় ৭বার গুলি করে পুলিশ। পক্ষাঘাতগ্রস্ত অবস্থায় এখনো হাসপাতালে ভর্তি আছেন জ্যাকব। এই ঘটনা কেনোসাজুড়ে বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভ জোরদার করে। আল জাজিরা/এপি/রয়টার্স
[৩]স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার কেনোসা সফরে শহরের একটি চার্চে স্থানীয়দের উদ্দেশ্যে মার্কিন নির্বাচনে ডেমোক্রেট দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেন বলেন, ‘আমার জ্যাকবের সঙ্গে ১৫ মিনিট ফোনে কথা বলার সুযোগ হয়েছে। তিনি এখন হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ রুম থেকে বেরিয়ে এসেছেন। তিনি আমাকে বলেছেন, কিছুই তাকে পরাজিত করতে পারবে না। এবার তিনি পুনরায় হাঁটতে পারুন কিংবা না পারুন, তিনি হাল ছেড়ে দেবেন না।’ এই সফরে জ্যাকবের পরিবারের সদস্য ও আইনজীবীর সঙ্গেও দেখা করেছেন বাইডেন।
[৪]চার্চে বাইডেন আরো বলেন, ‘অবশেষে আমরা ৪’শ বছরের পুরনো দাসপ্রথা ও এর চিহ্ন নিয়ে কথা বলছি, যা এই দেশের আদি পাপ। আমি বলছি না আগামীকাল আমি প্রেসিডেন্ট হলে চার বছরে সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু ট্রাম্প পুনঃনির্বাচিত না হলে পরিস্থিতির কিছুটা হলেও উন্নতি হবে।’ ট্রাম্পের সমালোচনা করে তিনি বলেন, শালর্টভ্যালিতে শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদীদের সহিংসতার সময় ট্রাম্প বিভেদকে সমর্থন করেছিলেন। তিনি মানব প্রবৃত্তির অন্ধকার দিককে বৈধতা দিয়েছেন। যা ইতোপূর্র্বে কোনো প্রেসিডেন্ট করেন নি।’
[৫]এই সময় বাইডেন বিক্ষোভে দাঙ্গা ও সহিংসতা থেকে বিরত থেকে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ পালনের আহ্বান জানান।
[৬]দুইদিন আগে কেনোসা সফরে শহরটিতে বিক্ষোভ ও সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে এসেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই সফরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য তহবিল বৃদ্ধির ঘোষণা দিলেও প্রকাশ্যে একবারের জন্যও জ্যাকবের নাম উচ্চারণ করেন নি ট্রাম্প।
[৭]গত ২৫ মে মিনেসোটায় পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বজুড়ে বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভের জন্ম দেয়। মার্কিন অ্যাটর্নী জেনারেল উইলিয়াম ব্লার বলেন, ফ্লয়েডের থেকে জ্যাকবের ঘটনা পুরোই ভিন্ন, ফ্লয়েড ছিলেন হাতকড়া পরা ও নিরস্ত্র, অন্যদিকে জ্যাকব গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত ছিলেন ও তার গাড়িতে ছোরা পাওয়া গিয়েছে।