আনিস তপন : [২] বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ সংক্রান্ত বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন একথা বলেন।
[৩] তিনি বলেন, স্থানীয় জেলা ও পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থলে আছেন এবং প্রকৃত ঘটনা জানার লক্ষ্যে তদন্ত করছেন। তাছাড়া ঘটনার রহস্য উন্মোচনে ঢাকা থেকেও পুলিশের একটি প্রশিক্ষিত উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন চৌকশ দলকে ঘটনাস্থলে অধিকতর তদন্ত ও রহস্য উন্মোচনসহ প্রকৃত দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করতে সেখানে পাঠানো হয়েছে।
[৪] ঘটনার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাত তিনটার দিকে ইউএনওর সরকারি বাসভবনের বাথরুমের ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে। দুই দুর্বৃত্ত মুখোশ পড়া অবস্থায় ইউএনওকে আক্রমন করে। এসময় তারা হাতুরি দিয়ে তার মাথার পেছনে উপর্যপুরি আঘাত করে। এসময় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন ওয়াহিদা রহমান।
[৫] এক প্রশ্নের জবাবে ফরহাদ হোসেন বলেন, দুর্বৃত্তদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রশাসন সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। তারা ডাকাতি করতে এসেছে কিনা বা ইউএনও'র সঙ্গে শত্রুতা বা পারিবারিক কোনো ঘটনার বিষয় এর পেছনে জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জেলা প্রশাসকের বক্তব্য উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তিনি জানিয়েছেন এটা শত্রুতবশত হয়েছে কিনা তা তিনি জানেন না। কারণ এমন বিষয়ে আহত ইউএনও আগে কখনো কিছু বলেননি।
[৬] বাসভবনের নিরাপত্তায় স্থাপিত সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা চলছে জানিয়ে ফরহাত হোসেন বলেন, সরকার বিষয়টি খুব গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখছে। খুব দ্রুত প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের মাধ্যমে শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। সরকারি কর্মকর্তাকে হামলার ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে মামলা করবে জানিয়ে, প্রতিমন্ত্রী বলেন, মামলার প্রস্তুতি (দুপুর- ২টা) চলছে।