ইমরুল শাহেদ : ঢাকার চলচ্চিত্র থেকে যথাযথ শিল্পী ও তারকাদের ব্যক্তিগত স্বার্থ সংশ্লিষ্টতার কারণে জুটি প্রথা অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। শবনম-রহমান বা রাজ্জাক-কবরীর পর বৃহত্তর অর্থে আর কোনো জুটি পাওয়া যায়নি। শাবনূর-সালমান শাহকে কেন্দ্র করে একটা সুন্দর জুটি গড়ে উঠছিল।
সালমানের অকাল প্রয়াণে সেটাও আর গড়ে উঠেনি। কিছু জুটি তৈরি হওয়ার আগেই বিয়ে করে তার ইতি টেনে দিয়েছে। নায়ক-নায়িকার প্রেম ও বিয়ের কারণে কোনো সফল জুটি গড়ে উঠতে পারছে না। সংশ্লিষ্টদের প্রেম ও বিয়ের কারণে প্রযোজককেও পথে বসতে হয়েছে। এভাবেই চলচ্চিত্রে জুটির ক্ষেত্রে শুরু হয়ে যায় বন্ধ্যাত্ব। জুটি মানে দুই তারকার জনপ্রিয়তার সমন্বয়, যাকে বলে পর্দা কাপল। পর্দায় মানানসই মনে না হলে সেটা জুটি হিসেবে দর্শক মেনে নেয় না। এমন একটা পরিস্থিতিতেই গড়ে উঠতে যাচ্ছে একটা নতুন জুটি। দীঘি এবং শান্ত খানকে নিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে তিনটি ছবি।
এর মধ্যে শামীম আহমেদ রনি পরিচালিত টঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই এবং একাত্তরের ইতিহাস শুরু হয়ে গেছে। এর সঙ্গে ধামাকা ছবি নিয়ে যুক্ত হয়েছেন পরিচালক মালেক আফসারী। এই জুটিকে নিয়ে মালেক আফসারী ইতোমধ্যে প্রশিক্ষণের কাজও শুরু করেছেন। তারা কতোটা মানানসই তার জন্য একটি টিকটক ভিডিও করে ফেসবুকে ছাড়া হয়েছে। টিকটকে দেখা যায় দু’জন বেশ সাবলিল। খুঁনসুটির দিক থেকে শান্তর চাইতে দীঘি কয়েক কদম এগিয়ে আছেন।
মালেক আফসারী বলেন, ‘এই জুটি সুপার হবে। শান্ত একটু লাজুক প্রকৃতির। সেটা ঠিক হয়ে যাবে। কাজী হায়াতের ছবিটিও তারা করবেন। বলতে গেলে এই জুটির হাতে নয়টি ছবি রয়েছে।’ অনেকের ধারণা ছিল মালেক আফসারীর মাধ্যমে সেলিম খানের শাপলা মিডিয়ায় শাকিব খান আবারও ফিরে আসতে পারেন।
কিন্তু মালেক আফসারী সে সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘সেলিম খান তাকে বলেছেন, শাকিব খানকে নিয়েও ছবিতে লোকসান দিতে হয়, আমার ছেলেকে দিয়েও লোকসান দিতে হয়। তাহলে আমার ছেলেকে দিয়েই লোকসান দেই, শাকিব খানকে দিয়ে কেন?’ শাপলা মিডিয়া লগ্নীর ধরণ বদল করেছে। আপন গণ্ডীর বাইরে আপাতত যাচ্ছে না। এছাড়া সেলিম খান নিজের টিভি চ্যানেল ওয়াইজ টিভি নিয়ে ব্যস্ত আছে। এই চ্যানেলে এখন সংবাদকর্মীসহ প্রায় অর্ধশতাধিক লোক কাজ করছেন।