শিরোনাম
◈ সাতক্ষীরায় এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা ◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৫৯.৭ শতাংশ  ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী

প্রকাশিত : ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১১:৪৪ দুপুর
আপডেট : ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১১:৪৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পিছু হটলো নির্বাচন কমিশন

ডেস্ক রিপোর্ট : সমালোচনার মুখে শেষ পর্যন্ত পিছু হটেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) নাম পরিবর্তন এবং প্রার্থিতা বাতিলে ইসির ক্ষমতা বাদ দেওয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান ও পদের নাম বাংলায় রূপান্তরের উদ্যোগ থেকে পিছু হটেছে সংস্থাটি।

আজ সোমবার নির্বাচন কমিশনের সভা শেষে ইসি সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর সাংবাদিকদের এসব সিদ্ধান্তের কথা জানান।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন–সংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২–এর নাম গণপ্রতিনিধিত্ব আইন–২০২০ করা এবং এই আইন থেকে প্রার্থিতা বাতিলে ইসির ক্ষমতা বাদ দিয়ে সংস্কার প্রস্তাব তৈরি করেছিল ইসি। তা আইন মন্ত্রণালয়েও পাঠানো হয়েছিল। সম্প্রতি মন্ত্রণালয় তা ফেরত পাঠায়। ইসির এই উদ্যোগ ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়। নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারও এর বিরোধিতা করেন।

আজ ইসি সচিব মো. আলমগীর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, নিজের ক্ষমতা নিজে ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কমিশনের কোনো ক্ষমতাই খর্ব করা নয়, বরং যা আছে মৌলিক, তার সবই ঠিক থাকবে। আরপিওর মৌলিক কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না, শুধু বাংলায় করা হচ্ছে।

ইসি সচিব বলেন, প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতা বিধিতে রাখতে গিয়ে হয়তো কমিশন আইন থেকে ভুল করে হোক বা বোঝাপড়ার মাধ্যমে হোক সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে এটা আইনে থাকবে না, বিধিতে যাবে। আর আইন মন্ত্রণালয় বলেছে যে এটা ‘কোর্টে’র বিষয়। এটি বিধিতে রাখা যায় না। তারা নয়–দশটা বিষয় আইনেই রাখতে বলেছে। যেহেতু আইন মন্ত্রণালয় আইনেই রাখতে বলেছে এটাকে শক্তিশালী রাখার জন্য, তাই আইনেই রাখা হচ্ছে।

এদিকে আজ ইসির মুলতবি সভায় স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচন আইন–২০২০–এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার উপস্থিত ছিলেন না। এই আইন নিয়ে এর আগের বৈঠকে আইন সংস্কারের প্রস্তাবের বিরোধিতা করে লিখিত বক্তব্য দিয়েছিলেন (নোট অব ডিসেন্ট) তিনি।

ইসি ইউনিয়ন পরিষদের নাম পরিবর্তন করে ‘পল্লি পরিষদ’, পৌরসভার নাম পরিবর্তন করে ‘নগর সভা’ আর সিটি করপোরেশনের পরিবর্তে ‘মহানগর সভা’ করার প্রস্তাব করে একটি খসড়া করেছিল। তাদের এই উদ্যোগ ভেতরে–বাইরে প্রশ্নের মুখে পড়ে। এই আইন পরিবর্তনের প্রস্তাব করার এখতিয়ার ইসির আছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন আছে।

আজকের বৈঠক শেষে ইসি সচিব মো. আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, আইন বাংলায় রূপান্তর করা হলেও প্রতিষ্ঠান ও পদের নাম একই থাকছে।

নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব থেকে সরে আসা ইসির দুর্বলতা কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, বিষয়টি তা নয়। এটি প্রস্তাব পর্যায় হয়েছে। আইনের অনেক ধাপ রয়েছে। ইসির অনুমোদনের পর এটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে, মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেওয়া হবে। সব শেষে জাতীয় সংসদে একটি পাস হবে। ইসি যা করছে, তার কোনোটিই চূড়ান্ত নয়। যেকোনো পর্যায়ে আরও পরিবর্তন–পরিমার্জন হতে পারে।

মো. আলমগীর বলেন, কিছু সংশোধনীসহ কমিশন আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে। সংশোধনীগুলো যুক্ত করে মতামতের জন্য ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে।

শীর্ষনিউজ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়