জেরিন আহমেদ: [২] প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক সম্পর্কের শুরু থেকে। ১৯৮৪ সালের ঘটনা। লোকসভা ভোট আসন্ন। বাংলায় ৪২ টি আসনে কংগ্রেসের প্রার্থী বাছাইয়ে অন্যতম দায়িত্ব তখন প্রণব মুখোপাধ্যায়ের উপর। সে ব্যাপারে তখন ঘন ঘন মিটিং হচ্ছে দিল্লি কলকাতায়। কিন্তু যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের জন্য তখনও যুৎসই কোনও প্রার্থী পাওয়া যায়নি।
[৩] ঘরোয়া আলোচনায় প্রণববাবু পরে জানিয়েছিলেন, এমনই এক বৈঠকে সুব্রত মুখোপাধ্যায় তাঁকে জানিয়েছিলেন, তাঁর সন্ধানে একটি মেয়ে রয়েছেন। কম বয়স। কিন্তু প্রবল আগ্রাসী ও লড়াকু। প্রণববাবু কৌতূহলী হয়ে জানতে চান, কে সেই মেয়ে? সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুব্রত মুখোপাধ্যায় প্রস্তাব মেনে নেন প্রণববাবু।
[৪] সোমবার সন্ধ্যায় প্রণববাবুর মৃত্যুর পর সেই স্মৃতি রোমন্থন করলেন মমতাও। বললেন, “ভারতরত্ন প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর সঙ্গে একটা যুগের অবসান হল। বহু দশক ধরে একজন অভিভাবকের মতো ছিলেন তিনি। আমার প্রথমবার সংসদে সদস্য হওয়া থেকে শুরু করে তাঁর সঙ্গে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছি। মন্ত্রিসভায় আমার বর্ষীয়ান সতীর্থ ছিলেন তিনি।আমি যখন মুখ্যমন্ত্রী তখন রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হন তিনি। দিল্লিতে গিয়ে প্রণবদার সঙ্গে দেখা হবে না, ভাবতেই পারছি না। রাজনীতি থেকে অর্থনীতিতে সবেতেই প্রাজ্ঞ ছিলেন তিনি। তাঁর কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকব।”
[৫] মমতা আরো বলেন, শেষ দিকে ২০১৭ সালে প্রণববাবুকে একবার দার্জিলিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনও রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। মেয়ে শর্মিষ্ঠাকে নিয়ে দার্জিলিংয়ে এসেছিলেন তিনি। মমতার আতিথেয়তায় সেবার খুবই মুগ্ধ ছিলেন প্রণববাবু। পরে বলেছিলেন, মুন্নি (শর্মিষ্ঠা) আর মমতা তো দুই বোনের মতোই আমাকে যত্ন করেছে ওখানে। মমতা বলেছে, আমাকে বোরোলি মাছ রান্না করে খাওয়াবে। জি নিউজ