লিহান লিমা: [২] গত ৯ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কারচুপির মাধ্যমে বিজলী প্রেসিডেন্ট আলেক্সাজান্ডার লুকাশেঙ্কোর পদত্যাগের দাবিতে রাজধানী মিনস্কে বিক্ষোভ করছে লাখো জনতা। কারখানায় শ্রমিকরা ধর্মঘট করেছেন। সরকারি টিভির সাংবাদিকরা পদত্যাগ করেছেন। ইউরো নিউজ
[৩] মার্কিন গণমাধ্যম এসোসিয়েট প্রেস বলেছে, তাদের দুই রুশ সাংবাদিকের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল করে শনিবার তাদের রাশিয়া ফেরত পাঠানো হয়েছে।
[৪] জার্মানির এআরডি টিভি বলছে, তাদের মস্কোভিত্তিক দুই সাংবাদিকের অনুমোদনপত্র বাতিল করে দেশ বেলারুশ ত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। এর মধ্যে বেলারুশীয় প্রযোজককে আটক করা হয়েছে।
[৫] বিবিসি বলেছে, তাদের মিনস্ক ভিত্তিক রুশ সার্ভিসের দুই সাংবাদিকের অনুমোদনপত্র বাতিল করা হয়েছে।
[৬] মার্কিন তহবিলে পরিচালিত রেডিও ফ্রি ইউরোপ/ রেডিও লিবারের্টি বলেছে, তাদের ৫ জন সাংবাদিকের অনুমোদনপত্র বাতিল হয়েছে।
[৭] গত শুক্রবার সুইডিশ ফটোগ্রাফার পল হ্যানসেনকেও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বেলারুশ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে ফ্রান্সভিত্তিক গণমাধ্যম এএফপি ও জার্মান গণমাধ্যম ডয়েচে ভেলের সাংবাদিকদের অনুমোদনপত্র।
[৮] বেলারুশের সাংবাদিক সংস্থা বলছে, অন্যান্য বিদেশী গণমাধ্যমে কাজ করা ১৭ জন বেলারুশিয়ান সাংবাদিকের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে।
[১০] লিথুয়ানিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয় নেয়া বিরোধী দলীয় নেত্রী শ্বেতলানা তিখানোভস্কায়া বলেছেন, ‘এটি এই স্বৈরশাসকের নৈতিক স্খলনের আরেকটি উদাহরণ, তারা ভয় এবং দমন-পীড়ন চালিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখতে চাইছে।’
[১১] মিনস্কের মার্কিন দূতাবাস বেলারুশ সরকারের এমন পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে।
[১২] গত ৯ আগস্টের নির্বাচনে লুকাশেঙ্কো ৮০ শতাংশ ভোট পাওয়ার ঘোষণা দেয়ার পরপরই বিক্ষোভ দানা বাঁধে। লুকাশেঙ্কোর ওপর নির্বাচনে কারচুপি ও জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়। ইউরোপিয় ইউনিয়ন লুকাশেঙ্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞারোপের হুমকি দিয়েছে। তবে লুকাশেঙ্কো পাল্টা হুমকিতে বলেছেন, তিনি বেলারুশের ওপর দিয়ে যাওয়া ইউরোপীয় পণ্যে রুট বন্ধ করে দেবেন। সেই সঙ্গে নিজ দেশের সেনাবাহিনী ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে মিলে পশ্চিমা হুমকি মোকাবেলা করবেন। সম্পাদনা: ইকবাল খান