ইসমাঈল ইমু : [২] মামলাটি বর্তমানে ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানের আদালতে বিচারাধীন। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ২২ অক্টোবর সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ৪৬ সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছিলো।
[৩] এরপরই মামলায় কারাগারে থাকা আসামি জাহিদ হাসান ওরফে রানার আইনজীবী দাবি করেন, ঘটনার সময় তার বয়স ছিলো ১৭ বছর। এর সপক্ষে তারা জন্মসনদ, পরীক্ষার সনদ জমা দেন। আদালত সব কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ওই আসামিকে শিশু হিসেবে আখ্যায়িত করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দিতে বলেন।
[৪] গত বছর পুলিশ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দিলে ওই আসামির মামলা শিশু আদালতে পাঠানোর আদেশ হয়। রানা নামে কারাগারে থাকা আরেক আসামির আইনজীবী তার আসামিকেও অপ্রাপ্ত বয়স্ক ঘোষণা করে শিশু আদালতে বিচারের আবেদন করেন।
[৫] সেই আসামির বিরুদ্ধেও সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিলের পর তার বিচার শিশু আদালতে স্থানান্তরের আদেশ হয়েছে বলে জানান ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী রুহুল আমিন।
[৬] তিনি বলেন, এই মামলায় দুই আসামির বয়স নির্ধারণে জটিলতার কারণে দীর্ঘদিন সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। তবে আদালতের নির্দেশে জটিলতা নিরসন হয়েছে। এই মামলায় পরবর্তী সময়ে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।দুই আসামির বয়স জটিলতা নিরসন হওয়ায় এখন মামলার সাক্ষ্যগ্রহণে গতি আসবে বলে আশা করছেন ওই আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর গোলাম ছারোয়ার খান জাকির।
[৭] তিনি বলেন, অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় এই মামলার ১০ আসামির দুজনের বিচার হবে শিশু আদালতে। বাকি আটজনের বিচার এই আদালতে হবে। বয়স নিয়ে বিতর্ক ও করোনা পরিস্থিতির কারণে দুই বছর সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। সেই জটিলতার অবসান হওয়ায় এখন সাক্ষ্যগ্রহণে গতি পাবে। সার্বিক বিবেচনায় মামলাটির বিচার প্রক্রিয়া দ্রুতই শেষ হওয়ার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।
[৮] তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ বলেন, কেমন তদন্ত হলো যে, সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হওয়ার পর আসামির বয়স নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রকৃতপক্ষে এই আসামিরা ঘটনার সঙ্গে কতটা সম্পৃক্ত সেটাই প্রশ্নবিদ্ধ। এখানে দায়সারা তদন্ত হয়েছে। আমরা আশা করছি আসামিরা ন্যায়বিচার পাবেন।
[৯] ২০১৫ সালের ২৩ অক্টোবর রাতে পবিত্র আশুরা উপলক্ষে তাজিয়া মিছিলে অংশ নিতে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে পুরান ঢাকার হোসেনি দালানে আসেন শিয়া সম্প্রদায়ের ২০ থেকে ২৫ হাজার লোক। রাত পৌনে ২টার দিকে হোসেনি দালানে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এ হামলায় সাজ্জাদ হোসেন ও জামাল উদ্দিন নামে দুইজন নিহত হন। আহতও হন শতাধিক।