শিরোনাম
◈ গাজীপুরে হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু  ◈ বিশৃঙ্খলার পথ এড়াতে শিশুদের মধ্যে খেলাধুলার আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ◈ তাপপ্রবাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও বন্ধ ঘোষণা ◈ সোনার দাম কমেছে ভরিতে ৮৪০ টাকা ◈ ঈদযাত্রায় ৪১৯ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৩৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি ◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও)

প্রকাশিত : ৩০ আগস্ট, ২০২০, ০৩:৫৭ রাত
আপডেট : ৩০ আগস্ট, ২০২০, ০৩:৫৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ২০৩৫ সালের মধ্যে দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক শহরে বাস করবে : জিইডির প্রতিবেদন

সাইদ রিপন : [২] বাংলাদেশের দ্রুত নগরায়ণের ফলে বস্তির প্রসারও বেড়েছে। শহরের বস্তি এলাকায় বসবাসকারী মানুষের সংখ্যাও তুলনামূলক হারে অনেক বেশি। ইইএন-হ্যাবিট্যাট বা জাতিসংঘ আবাসনের তথ্য অনুসারে, ২০১৪ সালে শহরে জনসংখ্যার ৫৫ দশমিক ১ শতাংশ বস্তিতে বসবাস করত। আগামী ২০৩৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশের অর্ধেক মানুষ শহরে বাস করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০৩০ সাল নাগাদ লক্ষ্য হলো শহরে বস্তিবাসীর সংখ্যা ২০ শতাংশে রাখা। বর্তমানে শহরে বসবাসকালী মানুষের ৬০ শতাংশের বেশি ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও রাজশাহীতেই ঘনীভূত। ২০৩০ সাল নাগাদ গ্রাম থেকে শহরে আভিবাসনের এই ধারা আরও সুস্পষ্ট হবে। জেলা পর্যায়ে নগরায়ণের ধারা সাতক্ষীরায় ৭ দশমিক ২ শতাংশ থেকে শুরু করে ঢাকায় তা ৯০ শতাংশের ওপরে রয়েছে। ঢাকা ধূলিদূষণ, জলাবদ্ধতা, বর্জ্য নিঃসরণে দেরি ও যানজটের মতো সমস্যায় জর্জরিত।

[৩] সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি) ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট : বাংলাদেশ অগ্রগতি প্রতিবেদন ২০২০’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। জিইডির প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

[৪] প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নগরাঞ্চলে আবাসনের তুমুল চাহিদা থাকলেও জোগান খুবই সীমিত। ঢাকায় আবাসনের বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে মানুষের ভূমি উন্নয়ন দুর্বল ব্যবস্থাপনা এবং দরিদ্রদের আবাসনের প্রাপ্যতা নিশ্চিতে নিয়ন্ত্রণের অভাব। জনসংখ্যার বেশিরভাগই বাড়াটিয়া বস্তিবাসী। বস্তির ৯৬ শতাংশ পরিবারই নি¤œমানের ঘরে (পাকা নয়) বাস করে। নাগরিকদের প্রায় ৪৪ শতাংশ কোনো একসময় একেবারেই অস্থায়ী কাঠামোয় বসবাস করতো। ২৯ শতাংশ আধাস্থায়ী কাটামোয বাস করত। এতে বোঝা যায়, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় ঘরবাড়ির মানোন্নয়ন ঘটেছে।

[৫] এসডিজির ১১ নম্বর লক্ষ্য অর্জণে বৈশ্বিক প্রেক্ষিতে বলা হয়েছে, পৃথিবীতে জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি শহরে বাস করে। ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় সাড়ে ৬০০ কোটি মানুষ শহরে বাস করবে বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এজন্য শহরের টেকসই উন্নয়নে নির্মানশৈলী ও ব্যবস্থাপনার পরিবর্তন করতে হবে। বর্তমানে বর্ধনশীল জনসংখ্যা ও অভিবাসনের ফলে শহরগুলোতে দ্রুত বিস্তৃতি ঘটছে। শহরকে টেকসই করার অর্থ ব্যবসা-বাণিজ্য ও কর্মসংস্থানের সুযোগ, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী আবাসন সমাজ ও অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

[৬] এছাড়াও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৯০ ও ২০১৬ সালের মাঝে বিশ্বব্যাপী শহরে বসবাসকারী মানুষের মধ্যে বস্তিবাসীর সংখ্যা ৪৬ থেকে ২৩ শতাংশে নেমেছে। মূলত শহরের নিজস্ব জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং গ্রাম থেকে বেশি মানুষ শহরে অভিবাসন করায় এই উন্নতি ম্লান হয়েছে। ২০১৬ সালে পৃথিবীতে প্রায় ১০০ কোটি মানুষ বস্তি কিংবা অনানুষ্ঠানিক আবাসস্থলে বাস করত। এরমধ্যে ৫৮ কোটি ৯০ লাখ মানুষ পূর্ব, দক্ষিণ-পূর্ব, মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ায় বাস করত।

[৭] বিশ্বব্যাপি জনসংখ্যার তুলনায় নগর অঞ্চলের পরিধি আরও দ্রুত হারে বাড়ছে। ২০০০-২০১৪ সালের মধ্যে নগর এলাকা জনসংখ্যার তুলনায় ১ দশমিক ২৮ শতাংশ গুণ দ্রুত গতিতে বেড়েছে। এ ধারার সঙ্গে সম্পর্ক রেখে শহরগুলোর ঘনত্ব কমছে। নগর অঞ্চলের পরিধি বৃদ্ধির এই ধারা স্থানীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পরিবেশগতভাবে গভীর প্রভাব পড়ার আশঙ্কা থাকছে। টেইসই নগরায়ণ নিশ্চিত করার জন্য নগর প্রবৃদ্ধির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা গুরুত্বপূর্ণ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়