দেবদুলাল মুন্না:[২] এ তথ্য আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন স্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণা সাময়িকী দ্য ল্যানসেটের। বাংলাদেশের কয়েকজন বিশেষজ্ঞকে উদ্ধৃত করে অস্ট্রেলিয়ার পুরস্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিক সোফি কাজিন্স তার প্রতিবেদনে বলেছেন, বর্ষা ও ডেঙ্গু মৌসুম চলছে। সংক্রমণ রোধে মানা হচ্ছে না কোনো শারীরিক দুরত্ব। ফলে বড়ো বিপদ অপেক্ষা করছে।
[৩] করোনা পরীক্ষার জন্য সরকার যে ফি নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে এই প্রতিবেদনে তার সমালোচনা করা হয়েছে। ফি নির্ধারণের পর পরীক্ষার হার কমে প্রতিদিন ১ হাজার মানুষে ০.৮ দাঁড়িয়েছে। আগস্টে প্রতি এক হাজার মানুষে ০.৬ হারে টেস্ট হয়েছে।এর মানে মানুষ চিকিৎসাও করাতে যাচ্ছে না।
[৪] এরজন্য বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান এমিনেন্সের প্রধান শামীম তালুকদার দ্য ল্যানসেটকে ‘অনৈতিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে’ কারণ বলে দায়ী করেছেন।
[৫] বাংলাদেশের আইইডিসিআর-এর সাবেক পরিচালক মাহমুদুর রহমানও টেস্টের জন্য ফি নির্ধারণ করার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন, মানুষের থেকে টাকা নেয়া সত্যি সমস্যা সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে গরিবদের জন্য টেস্ট করানো এখন কষ্টকর। ফলে মানুষ আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে।
[৬] ঢাকার আরেকজন চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে দ্য ল্যানসেটকে বলেন, সাড়ে সতেরো কোটি মানুষের দেশে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টেস্ট হচ্ছে, এটি আসলে কিছুই না।