রাশিদুল ইসলাম : [২] ‘নেচার’ সায়েন্স জার্নালের গবেষণা রিপোর্ট বলছে নারীদের তুলনায় কোভিড টিকার ডোজ পুরুষদের ক্ষেত্রে বাড়াতে হয়েছে। ষাটোর্ধ্ব পুরুষ কিংবা কমবয়সী নারীদের চেয়ে পুরুষরা কোভিডে বেশি সংক্রামিত হচ্ছেন।
[৩] ইয়েল ইউনিভার্সিটির আকিকো ইওয়াসাকি এই গবেষণার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি বলছেন, নারীদের শরীরে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা প্যাথোজেনের সংক্রমণ হলে শরীর খুব দ্রুত তার উপযোগী প্রতিরোধ তৈরি করতে পারে।
[৪] জার্মানির হ্যামবার্গের ইউনিভার্সিটি অব মেডিক্যাল সেন্টারের গবেষক ডক্টর মার্কাস আটফেল্ড বলেছেন, পুরুষরা বেশি ভাইরাস আক্রান্ত হচ্ছেন যৌন হরমোনের প্রভাবে। স্ত্রী যৌন হরমোন ইস্ট্রোজেন এই এসিই-২ রিসেপটর প্রোটিনের উপর প্রভাব খাটাতে পারে। ওয়াশিংটনের জর্জটাউন ইউনিভার্সিটির গবেষকরা বলেছেন, এই রিসেপটর প্রোটিন পুরুষ ও স্ত্রীর শরীরে ভিন্ন রকম ভাবে কাজ করে। ইস্ট্রোজেন কিডনিতে এসিই-২ রিসেপটর প্রোটিনের কাজ করার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ফলে ভাইরাস আর এই রিসেপটরকে চিহ্নিত করতে পারে না।
[৬] জন হপকিনস ইউনিভার্সিটির গবেষকদের প্রশ্ন শুধু যৌন হরমোনই নয়, মেনোপজ হয়ে গেছে এমন নারীদের চেয়ে বয়স্ক পুরুষরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন কোভিডে। ধূমপানে আসক্তি, জীবনযাপনের ধরন, পরিচ্ছন্নতা ও নেশার মাত্রা, অনেককিছুরই ফ্যাক্টর রয়েছে নারী-পুরুষ সংক্রমণ হারের এই পার্থক্যে।
[৭] টি-কোষের সক্রিয়তা নারীদের তুলনায় পুরুষদের কম। টে-কোষই শরীরের রোগ প্রতিরোধের মূল অস্ত্র। ৯০ বছরের নারীরও টি-কোষ অ্যাকটিভ হতে পারে, পুরুষদের সে সম্ভাবনা কম।
আপনার মতামত লিখুন :