ডেস্ক রিপোর্ট: ফতুল্লায় জামাল হোসেন নামের এক প্রবাসীর মৃত্যুর ঘটনায় স্ত্রী শারমীন আক্তারকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে বাড়ির বাথরুমে জামালকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। গতকাল তাঁর লাশ দাফনের ব্যবস্থা করছিল স্বজনরা। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। কালের কন্ঠ
জামাল ফতুল্লা থানার দাপাইদ্রাকপুরের রেইনবো মোড় এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন সৌদি আরবে ছিলেন। দেড় বছর আগে দেশে এসে আর যাননি।
জামাল মিয়ার মেয়ে সামিয়া আক্তার (২০) জানান, তাঁর বাবা রাত ১১টার দিকে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আড়াইটার দিকে তাঁর ঘুম ভেঙে গেলে তিনি ডাইনিংরুমের আলো জ্বালানো দেখেন। আলো নেভাতে গিয়ে দেখতে পান যে তাঁর বাবার মৃতদেহ বাথরুমের ভেতরে পড়ে আছে। তখন তিনি তাঁর মা ও ছোট ভাইকে ডেকে তোলেন। পরে তাঁদের বাড়ির ভাড়াটিয়াদের ডেকে তোলা হয়। সবাই এসে মৃতদেহ বাথরুম থেকে বের করে।
সামিয়া বলেন, পরিবারের সবাই ও ভাড়াটিয়ারা তাঁর বাবার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করায় তাঁরা আর মরদেহ হাসপাতালে নিয়ে যাননি। নিকটাত্মীয় ও স্বজনদের পরামর্শে তাদের উপস্থিতিতে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
পুলিশ জানায়, পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে জামালকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে গোপনে দাফনকার্য সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করা হয়েছিল কি না, তা মাথায় রেখে তদন্ত চলছে। জামালের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তদন্ত শেষেই বলা যাবে এটি হত্যা নাকি দুর্ঘটনা।
ফতুল্লা থানার ওসি আসলাম হোসেন বলেন, ‘মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছি এবং তাঁর স্ত্রী শারমীনকে গ্রেপ্তার করেছি। এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।’