উল্লাপাড়া প্রতিনিধি: [২] সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় রোপা আমন ধান আবাদে কৃষকদের সংখ্যা বাড়ছে। ইরি মৌসুমে ধানের মূল্য বেশি পাওয়াই ধান আবাদি জমির সংখ্যা বাড়ছে।
[৩] উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নে বন্যার পানি নেমে যাওয়াই ধান লাগানো শুরু করেছে কৃষক। আর বাকী চার ইউনিয়নে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার অপেক্ষায় সময় পাড় করছেন কৃষকেরা। এদিকে বন্যায় অধিকাংশ বীজতলা প্লাবিত হওয়ায়, ধান চারা সংকট। অতিরিক্ত টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে চারা। উল্লাপাড়ার পৌর শহরের কাওয়াক মোড়ে এক পণ চারা (৮০ মুঠো) এখন ৪শ থেকে ৪শ ২০ টাকা দরে কেনা বেচা হচ্ছে।
[৪] উল্লাপাড়া উপজেলার সলপ, পঞ্চক্রোশী, বড়হর, হাটিকুমরুল, রামকৃষ্ণপুর, সলংগা, দূর্গানগর, উল্লাপাড়া সদর ও পূর্ণিমাগাঁতী ইউনিয়নে বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় কৃষক ধান লাগাতে ব্যস্ত হয়ে পরেছে। এ অঞ্চলের অধিকাংশ কৃষক চারা কিনে জমিতে লাগাচ্ছে। চলতি বছরের বন্যায় কৃষকের রোপা আমনের নিজস্ব বীজতলা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় চারা কিনতে হচ্ছে।
[৫] এদিকে উধুনিয়া, মোহনপুর, বড়পাঙ্গাসী ও বাঙ্গালা ইউনিয়নের মাঠ গুলো এখনও বন্যার পানি রয়েছে। এসব মাঠ থেকে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর অধিকাংশ জমিতে সরিষা ফসলের আবাদ করা হবে বলে জানা যায়। উল্লাপাড়া অঞ্চলে বিভিন্ন এলাকার কৃষকেরা এ সময়ে আবার রোপা আমনের বীজতলা করছে। এরা ব্রি ২৩ জাতের ধানের বীজতলা বেশি করছেন।
[৬] উল্লাপাড়া পৌর শহরের কাওয়াক চারার হাটে প্রতিদিন বিভিন্ন মোকাম থেকে দু থেকে তিন ট্রাক চারা আমদানী হচ্ছে। উল্লাপাড়া সহ পাশ্ববর্তী শাহজাদপুর অঞ্চলের কৃষকেরা এখান থেকে চারা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এ বিঘা জমিতে দেড় থেকে দুথপণ চারা লাগবে এমন এক পণ চারা চার থেকে চারশ ২০ টাকা কেনা বেচা হচ্ছে। স্থানীয় কৃষি বিভাগ থেকে মোকামী চারা কিনতে ধানের জাত ভাল ভাবে জেনে কেনার বিষয়ে কৃষকদের কে পরামর্শ সহ মাঠ পর্যায়ে এ ধানের আবাদে খোজ খবর নেয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়। সম্পাদনা: সাদেক আলী