শিরোনাম
◈ আবারও মে‌সির জোড়া গোলে ইন্টার মায়ামির জয় ◈ এখন থেকে আর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নাম থাকবে না: জ্বালানি উপদেষ্টা ◈ ‘তুমি কেন ফুয়েল কেটে দিলে?’ ভারতীয় বিমান বিধ্বস্তের আগে পাইলটদের শেষ ককপিট ভয়েস রেকর্ডিং ◈ দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসীদের জন্য সুখবর: মৃত্যু হলে লাশ দেশে পাঠাবে সরকার, ক্ষতিপূরণ মিলবে বীমার আওতায় (ভিডিও) ◈ বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হতে যাচ্ছে ভারত: পিউ রিসার্চ ◈ বেপরোয়া বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংঘাতে ছয় মাসে নিহত ৪৩ ◈ স্প‌্যা‌নিশ ক্যাবরেরাই থাক‌ছেন বাংলা‌দেশ ফুটবল দ‌লের কোচ ◈ সন্ধ‌্যায় নেপালের বিরু‌দ্ধে লড়াই‌য়ে নাম‌ছে বাংলা‌দে‌শের মে‌য়েরা ◈ ঢাকায় হবে এশিয়া কাপের সভা, ভারত অংশ নে‌বে না ◈ এবার যে কারণে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করলেন ড. ফয়জুল হক

প্রকাশিত : ২৩ আগস্ট, ২০২০, ০৯:৩৭ সকাল
আপডেট : ২৩ আগস্ট, ২০২০, ০৯:৩৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] কারাদণ্ড, অর্থদণ্ড, উভয় দণ্ডের বিধান রেখে ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালার খসড়া প্রস্তাব

আনিস তপন : [২] প্রথম অপরাধের জন্য অনধিক দুই বছর কারাদণ্ড বা অনধিক দুই লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রেখে ঝুঁকিপূর্ণ (কঠিন বর্জ্য) ব্যবস্থাপনা বিধিমালার খসড়া তৈরি করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।

[৩] এছাড়াও পরবর্তী প্রতিটি অপরাধের ক্ষেত্রে অনুন্য দুই বছর, অনধিক ১০ বছর কারাদণ্ড বা অন্যুন দুই লক্ষ টাকা, অনধিক ১০ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

[৪] খসড়াতে বিধিমালা লঙ্ঘনে ‘বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫’ এর ১৫ ধারার অধীনে এই শাস্তি প্রয়োগ হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

[৫] তবে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অপরাধ সংগঠিত হয়েছে কিনা তা তদন্তে একই আইনের ১৯ ধারা মতে ‘সরকার আইন বা বিধির আওতায় পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) বা অন্য যে কোনো কর্মকর্তাকে তদন্তের ক্ষমতা দিতে পারবে। আবার একই ধারার উপধারা (২) মতে আইন বা বিধির অধীন ডিজি তার যে কোনো ক্ষমতা অধিদপ্তরের যে কোনো কর্মকর্তাকে অর্পণ করতে পারবেন বলা হয়েছে খসড়াতে।

[৬] বিধি বা কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্য কর্তৃপক্ষ এই বিধিমালা অনুসারে তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে বাধ্য থাকবে। নির্দেশনা অনুযায়ী কর্ম সম্পাদনে অবহেলা বা ব্যর্থতার ক্ষেত্রে কমিটি কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যাখ্যা চাইলে তা দিতে বাধ্য থাকবে। প্রাপ্ত ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হলে না ব্যাখ্যা না দিলে কমিটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করতে পারবে এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
তাছাড়া প্রত্যেক স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষ ও প্রতিষ্ঠানকে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রতি অর্থ বছরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বার্ষিক প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

[৭] এতে স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষকে পচনশীল কঠিন বর্জ্য, জৈবিকভাবে অপচনশীল কঠিন বর্জ্য ও গৃহস্থালি বিপজ্জনক বর্জ্যকে আলাদা-আলাদাভাবে সংগ্রহ করার জন্য বলা হয়েছে। তাছাড়া নির্ধারিত স্থানে বর্জ্য স্তুপ করা ও পোড়ানোর জন্য সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা জারিসহ নিয়মিত নজড়দারি করবে স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষ। তাছাড়া নালা/নর্দমা হইতে উত্তোলন করা কঠিন বর্জ্য, মল, বিষ্ঠা ইত্যাদি অন্যান্য কঠিন বর্জ্য হতে আলাদাভাবে সংগ্রহ কওে যথাযথভাবে ঢেকে (আবৃত) সরাসরি চূড়ান্ত পরিতাজন স্থল অথবা পরিশোধন স্থানে পৌঁছানোর ব্যবস্থা নেবে।

[৮] স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের অন্তর্গত বা এর বাইরে বসবাসকারি বাসিন্দাদের দায়িত্ব সম্পর্কে এতে বলা হয়েছে, জৈবিকভাবে পচনশীল, অপচনশীল ও বিপজ্জনক কঠিন বর্জ্য নিজ দায়িত্বে আলাদা করে ভিন্ন ভিন্ন পাত্রে মজুত/সংরক্ষণ করতে হবে। এসব বর্জ্য এমনভাবে সংরক্ষণ করতে হবে যাতে, কোনো প্রকার দুর্গন্ধ ছড়াতে না পারে, বাতাসে উড়ে যেতে না পারে, অন্য কোথাও পতিত হতে না পারে বা তরল বর্জ্য চোয়াইয়া বা অন্য কোনোভাবে বাইরে নির্গত হতে না পাওে এমন পাত্রে রাখতে হবে। এছাড়া বর্জ্য সৃষ্টিকারীকে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্য কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত ফি পরিশোধ করতে হবে।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়