জেরিন আহমেদ: [২] শনিবার লুইজিনিয়া অঙ্গরাজ্যের ৩১ বছর বয়সী যুবক ট্রেফোর্ড পেলারিন একটি দোকানে ছুরি নিয়ে ঢোকার চেষ্টা করে। এসময় প্রতিহতের চেষ্টায় ব্যর্থ হলে তাকে লক্ষ্য করে নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালায় বলে দাবি স্থানীয় প্রশাসনের।
[৩] এটিকে ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ড আখ্যা দিয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আমেরিকান সিভিল লিভার্টিজ ইউনিয়ন- এসিএলইউ। কৃষ্ণাঙ্গ নিহতের ঘটনায় লুইজিনিয়া রাজ্য পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তবে এসময় কোন পুলিশ সদস্য হতাহত হননি। এরই মধ্যে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যর প্রশাসন।
[৪] মানবাধিকার কর্মীরা ওই ভিডিও দেখার পর পুলিশের বিচার চেয়েছেন। তারা বলছেন, জর্জ ফ্লয়েডের মতো এবারও ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
[৫] পুলিশ বিবৃতিতে বলেছে, ‘শুকবার রাত আটটার দিকে জরুরি নম্বরে ফোনে সাহায্য চাওয়া যায়। দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে বন্দুকহাতে এক ব্যক্তিকে দেখা যায়।’ ‘তিনি সেখান থেকে পালিয়ে অন্য একটি দোকানে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ গুলি চালায়।’
[৬] লোকটিকে উদ্ধার করে পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। পরে তারা পরিচয়ও উদ্ধার করেন। নিহত ব্যক্তির নাম ট্রেফোর্ড পেলারিন (৩১)।
[৭] আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন এই ঘটনার প্রতিবাদ করে বলেছে, ‘আবার একটি ভয়ংকর ফুটেজ সামনে এল। সবার চোখের সামনে ফের মেরে ফেলা হল আরেক কৃষ্ণাঙ্গকে। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই।’
[৮] উল্লেখ্য, এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে ৪৬ বছর বয়সী নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডকে এক পুলিশ অফিসার হাঁটু দিয়ে তার ঘাড়ে চেপে ধরে হত্যা করে। ঐ ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন পড়েন সাধারণ মানুষ। মার্কিন পুলিশের ক্ষমতা লাগাম টেনে ধরার পাশাপাশি নানা ধরণের ডাক দেয় আন্দোলনকারীরা। সূত্র: টাইমস, ডেইলি মেইল