দেবদুলাল মুন্না: [২] বিশ্বখ্যাত পেইন্টার রনি আহম্মেদ এ কথা গতকাল বলেন। শনিবার ভোরে মারা যান মৃণাল হক। শুক্রবার রাতে সুগার লেভেল গেলে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এ কথা জানান তার সহযোগী গ্রাফিক্স ডিজাইনার মো. আলমগীর। মতিঝিলের ‘বলাকা’র ভাস্কর মৃণাল হক সবচেয়ে বেশি আলোচিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের লেডি জাস্টিসের আদলে গড়া ভাস্কর্যের জন্য। ধর্মীয় সংগঠনগুলোর বিরোধিতার কারণে ওই ভাস্কর্যটি ২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।
[৩] মৃণাল হক ১৯৯৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং সেখানে ভাস্কর্যের কাজ শুরু করেন। ২০০২ সালে তিনি দেশে ফিরে নিজ উদ্যোগে নির্মাণ করেন মতিঝিলের ‘বক’ ভাস্কর্যটি।‘সেলিব্রেটি গ্যালারি’ বানিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন ভাস্কর মৃণাল হক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক শিল্পী আবুল বারক আলভী বলেন, ‘যখন কোনও আদল তৈরি করা হয়, তখন অনেক সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। কেননা, বিষয়টি সংবেদনশীল। আর সেলিব্রেটিদের ক্ষেত্রে সেটি আরও সতর্কতার বিষয়। কারণ, তাদের অবয়ব সবার মুখস্থ।’
[৪] রনি আহম্মেদ মনে করেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে ‘রত্নদ্বীপ’ নামে ২০০৮ সালে নির্মিত যে ভাস্কর্যটি রয়েছে তাতে যে ঝিনুকটি দেখা যায়, তা আমাদের দেশীয় প্রজাতির ঝিনুক নয়।
[৫] ২০০৮ সালে ইসলামী সংগঠনগুলোর দাবির মুখে বিমানবন্দরের সামনে থাকা মৃণাল হকের লালন ভাস্কর্য সরিয়ে নেয় সরকার।