শিরোনাম
◈ অর্থনীতিতে ইতিবাচক ইঙ্গিত: রেকর্ডসংখ্যক কোটিপতি ব্যাংক হিসাব ◈ কাতার ও ফিলিস্তিনের প্রতি অবিচল সমর্থন জানালো বাংলাদেশ ◈ দুবাইয়ে বিকৃত যৌ.নাচার ব্যবসার চক্রের মুখোশ উন্মোচন এবার বিবিসির অনুসন্ধানে! ◈ জনপ্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তাকে বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে বদলি ◈ ‘আমার নাম স্বস্তিকা, বুড়িমা নই’ ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বস্তিকা ◈ তিন জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার ◈ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আবার বাড়ল ◈ আর্থিক সুবিধা নেওয়ায় কর কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ লড়াই ক‌রে‌ছে হংকং, শেষ দি‌কে হাসারাঙ্গার দাপ‌টে জয় পে‌লো শ্রীলঙ্কা ◈ দুর্গাপূজায় মণ্ডপ পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে আমন্ত্রণ হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের

প্রকাশিত : ১৮ আগস্ট, ২০২০, ১০:৩৩ দুপুর
আপডেট : ১৮ আগস্ট, ২০২০, ১০:৩৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ধাপের উপর সবজি চাষ করে স্বাবলম্বী পাঁচ শতাধিক পরিবার

এসএম শামীম: [২] দেশের শস্য ভান্ডার হিসেবে পরিচিত বরিশালের আগৈলঝাড়ায়ও শুরু করা হয়েছিল ভাসমান (ধাপ) বেডে সবজি চাষ। ভাসমান বেডে সবজি চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন আগৈলঝাড়া উপজেলার প্রায় ৫ শতাধিক পরিবার। জলাবদ্ধ এলাকায় বেড বা ধাপে সবজির চাষ করে এলাকায় সবজির চাহিদা মিটিয়ে স্বল্প সময়ে এই প্রকল্পে আত্মকর্মসং¯’ানের সুযোগ থাকায় এলাকার চাষীদের উৎসাহিত করে উপজেলায় এই চাষের সম্প্রসারণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষি বিভাগ।

[৩] উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বেশীরভাগ জমিতে পানি নিস্কাশনের সু-ব্যবস্থা না থাকায় বছরের ছয় মাস এ অঞ্চলের জমিতে পানি জমা থাকে। এলাকার দরিদ্র জনগোষ্ঠির জন্য এই জলাবদ্ধতা একটা অভিশাপ। কারন, বছরে একবারই তারা জমিতে ফসল ফলাতে পারছেন। বাকি সময় পানি জমে থাকার কারণে জমি থাকে অনাবাদি। বদ্ধ পানিতে আগাছা ও কচুরিপানায় ভরে যায় জমি।

[৪] সরকার চাষিদের আত্মকর্মসংস্থান ও পরিবারের আয়ের সুযোগ করে দিতে ২০১৩ সাল থেকে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অধিনে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাষ্টের অর্থায়নে “বন্যা ও জলাবদ্ধ প্রবন এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তন অতিযোজন কৌশল হিসেবে ভাসমান সবজি ও মসলা উৎপাদন প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্প” গ্রহণ করেন। ওই প্রকল্পের আওতায় রাজিহার ইউনিয়নের বাশাইল গ্রামে চাষী সমন্বয়ে একটি সমিতির মাধ্যমে তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান, বিনা মূল্যে বীজ সরবরাহ, বেড তৈরীর খরচ ও বিভিন্ন কৃষি উপকরণ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

[৫] কয়েক বছর আগে থেকেই বাশাইল গ্রামের চাষিরা বেড বা ধাপে সবজি উৎপাদন করে আসছিলেন। সরকারী সহায়তা পাবার পরে তাদের সাথে অন্য এলাকার চাষিদেরও বেডে সবজি ও মসলা চাষে আগ্রহ বেড়েছে। বাশাইল গ্রামে ৭০ হেক্টর বেডে সবজি ও মসলা চাষ হচ্ছে। উপজেলার প্রায় ৬শ হেক্টর বেড এ সবজি ও মসলা চাষের লক্ষমাত্রায় নির্ধারন করা হচ্ছে।

[৬] এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, ধাপের উপর সবজি চাষীদের প্রশিক্ষন দেয়ার পর তাদের বিনা মূল্যে বীজ, সারসহ বিভিন্ন উপকরন দেয়া হয়। সম্পাদনা: সাদেক আলী

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়