আনিস তপন: [২] সোমবার বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) আয়োজিত ‘জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২০ পালন উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে এমন কথা বলেন, কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, যে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অন্ত:স্বত্তা মহিলা, শিশু রাসেল, বঙ্গমাতা কেউ বাদ যায়নি।
[৩] কৃষিমন্ত্রী বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে তার আদর্শকে হত্যা করতে চেয়েছিল। ষড়যন্ত্রকারীরা এখনো তৎপর রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে যারা ছিলেন, সেসব কুশীলবদের চেহারা উন্মোচন করা দরকার। কমিশন গঠন করে সরকারিভাবে তাদের নাম লিখে রাখা উচিত। এভাবে তাদের কুৎসিত চেহারা জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে।
[৪] আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ৭১’র যুদ্ধাপরাধীরা মানবতাবিরোধী, এরা মানবতার শত্রু। এরা ধর্মকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করতে চায়। ধর্মকে ব্যবহার করে বাংলাদেশের সংস্কৃতি, আর্দশ ও ঐতিহ্যকে বিলুপ্ত করতে চায়। মুক্তিযুদ্ধের সময় যে কায়দায় এরা হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতন চালিয়েছিল ঠিক একই কায়দায়, একই ধারায় দিবালোকে ২১শে আগস্টে গ্রেনেড হামলা করেছে, যা যুদ্ধের মতো। ১৫ই আগস্ট এবং ২১শে আগস্টে গ্রেনেড হামলা একইসূত্রে গাঁথা।
[৫] বিএডিসি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, আপনারা সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করলেই বঙ্গবন্ধুর আর্দশ বাস্তবায়িত হবে, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, শান্তির বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে। শোক দিবস পালন অর্থপূর্ণ হবে।
আপনার মতামত লিখুন :