দেবদুলাল মুন্না: [২] এ কথা আক্ষেপ করে রোববার বলেন কবি নির্মলেন্দু গুণ। ২০০৬ সালের ১৭ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এ কবি শামসুর রাহমান। কবি নির্মলেন্দু গুণ বলেন, রাজধানীর শ্যামলীর বাস স্টপেজ থেকে শ্যামলী ১ নম্বর সড়ক ধরে কিছুদূর এগোলেই কবির স্মৃতিবিজড়িত বাড়ি। কবি যখন জীবিত ছিলেন, তখন দেশ-বিদেশের অসংখ্য মানুষের পদচারণে মুখর থাকত গোটা বাড়ি। এখন ওই বাড়িতে আর তেমন কেউ যান না বলে শুনেছি।
[৩] একই কথা বললেন কবির পুত্রবধু টিয়া রাহমান। তিনি জানান, দুই মেয়েকে নিয়ে কোনো রকমে সংসার চলে তাঁদের। দোতলা বাসা হওয়ায় নীচতলা ভাড়া দিয়েছেন। সেই ভাড়ার টাকাতেই চলে সংসার। কবির ছেলে ফাইয়াজ রাহমান ও টিয়া ছাড়াও পরিবারের সদস্য হলেন কবির দুই নাতনি নয়না রাহমান ও দীপিতা রাহমান।
[৪] টিয়া রহমান জানান, শ্যামলী ১ নম্বর সড়ক বাবার (কবি শামসুর রাহমান) নামে নামকরণের কথা ছিল। সেটিও বাস্তবায়িত হয়নি। কবির স্মৃতি সংরক্ষণ করা অত্যন্ত জরুরি। কবির ব্যবহার্য জিনিসপত্র, কবির অসংখ্য বই, পাণ্ডুলিপিসহ নানা কিছু আমি ব্যক্তিগতভাবে সংরক্ষণ করেছি।
[৫] বড় নাতনি নয়না জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি বিভাগে প্রথম শ্রেণি পেয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। এখন চাকরির চেষ্টা করছেন। ছোট নাতনি দীপিতা পড়াশোনা করছেন ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজে।