শিরোনাম
◈ ইসরায়েল খেললে বিশ্বকাপ ফুটবল বয়কট কর‌বে স্পেন ◈ এ‌শিয়া কা‌পে রা‌তে শ্রীলঙ্কা - আফগা‌নিস্তান মু‌খোমু‌খি, লঙ্কান‌দের জয় দেখার অ‌পেক্ষায় বাংলাদেশ  ◈ আওয়মী লীগ বিহীন বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে দিল্লিতে এখন যে সব চিন্তাভাবনা  ◈ চ‌্যা‌ম্পিয়ন্স লিগ, চেলসিকে হা‌রি‌য়ে বায়ার্ন মিউ‌নি‌খের শুভ সূচনা ◈ কিশোরগঞ্জ সম্মেলনে যাওয়ার জন্য স্থগিতাদেশ উঠিয়ে দিন, না হলে ভিন্ন পথ নেবো, জানালেন ফজলুর রহমান ◈ দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে নতুন অস্থিরতা ◈ হ‌্যান্ড‌শেক না করায় অপরাধ হিসা‌বে ভারতের ম‌্যাচ ফি ৫০ ভাগ একং ২‌টি ডি‌মে‌রিট প‌য়েন্ট জ‌রিমানা হ‌তে পা‌রে ◈ এআই, কোয়ান্টাম ও নিউক্লিয়ার এনার্জিতে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের বড় চুক্তি ◈ উগ্রপন্থা, সীমান্ত অচলাবস্থা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা—বাংলাদেশসহ পাঁচ প্রতিবেশীকে ‘হুমকি’ মনে করছে ভারত ◈ আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ

প্রকাশিত : ১৬ আগস্ট, ২০২০, ০৭:৫১ সকাল
আপডেট : ১৬ আগস্ট, ২০২০, ০৭:৫১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ফেঞ্চুগঞ্জে সার কারখানার বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে বিল, মরছে মাছ হাঁস

ডেস্ক রিপোর্ট : সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার শাহজালাল সার কারখানার গ্যাসের বর্জ্যের কারণে হাওরের মাছ, খামারের হাঁস মরছে। ইতোমধ্যে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়ে গেছে বলে দাবি করছেন মৎস খামারীরা। এদিকে পানি দূষিত হয়ে পড়ায় চরম ঝুঁকিতে ওই এলাকার বাসিন্দারাও। এমন পরিস্থিতিতে সারকারখানা কর্তৃপক্ষ বলছে, বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখছেন।

স্থানীয়রা জানান, সার কারখানার বিষাক্ত বর্জ্যে পার্শ্ববর্তী চিলুয়া বিলে নানা প্রজাতির মাছে মড়ক লেগেছে। প্রতিদিনই বোয়াল, সরপুঁটি, বাউশ, কাতলা, আইড়, টেংরাসহ দেশীয় নানা প্রজাতির মাছ মারা যাচ্ছে।

প্রতিদিন চিলুয়া তিনডুবি বিল, চাতল এমনকি এওলা ছড়ায় মরা মাছ ভাসছে। সরেজমিনে দেখা যায়, হতদরিদ্র লোকজন ভেসে ওঠা মরা মাছ কুড়িয়ে বিক্রি করছেন।

বারোহাল গ্রামের শামিম মিয়া বলেন, চিলুয়া বিলের পানি খেয়ে আমার শতাধিক হাঁস মারা গেছে দুদিনে। কচুয়াবহর গ্রামের হেলাল উদ্দিন বলেন, এওলাছড়া দিয়ে সার কারখানার বর্জ্য পানি বিলে এসে পড়ে। ফলে এই পানি কোনো কাজে ব্যবহার করা যায় না। শরীরে ওই পানি লাগলেই লালচে দাগ দেখা দেয় ও জ্বালাপোড়া করে।

চিলুয়া বিলের ইজারাদার ও বারোহাল মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি নীলমণি বিশ্বাস বলেন, ইজারাকৃত চিলুয়া বিলে দেশীয় প্রজাতির দশ লাখ টাকার পোনা মাছ কয়েক মাস পূর্বে অবমুক্ত করা হয়েছিল। মাছগুলো বেশ বড় হয়ে উঠেছিল। কিন্তু সারকারখানার বর্জ্যের কারণে মাছ মারা যাওয়ায় প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়ে গেছে। প্রতিদিনই মাছ মরে ভেসে উঠছে। সার কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি বিকল্প কোনো খাল দিয়ে কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য নিষ্কাশনের। কিন্তু তারা এতে তেমন কোনো সাড়া দিচ্ছেন না।

এ বিষয়ে শাহজালাল সার কারখানার প্রশাসনিক কর্মকর্তা এজিএম বাকী বলেন, আমি কারখানায় চলতি মাসে যোগদান করেছি। বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমি আলাপ করব।যুগান্তর

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়