সুজন কৈরী: [২] রাজধানীর পল্টনে বিএনপির পার্টি অফিসের দক্ষিণ পাশে পুরানা পল্টন লেনের ২৫/২ নম্বরস্থ একটি ভবনে অভিযান চালিয়ে জাল নোট তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) গুলশান ইউনিট।
[৩] অভিযানকালে প্রায় ৫ থেকে ৬ কোটি জাল টাকা তৈরির উপকরণ ও ৫৭ লাখ জাল টাকা জব্দ করা হয়। শুক্রবার বিকেলের এ অভিযানে আটক হয়েছে জাল টাকার বিশেষ কাগজ তৈরিকারক কাওসার, প্রিন্টিংম্যান হান্নান, কারখানার ম্যানেজার আরিফ এবং সরবরাহকারী ইব্রাহীম ও খুশি নামের একজন নারীকে।
[৪] গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের ডিসি মশিউর রহমান বলেন, কারখানার অর্থদাতা শাহিন নামের একজন। তিনি একাধিক মামলার আসামির। আটকরা আগেও একাধিক মামলায় জেলে ছিলেন। শাহিনকে আটকের চেষ্টা চলছে।
[৫] মশিউর রহমান বলেন, গত দেড় মাস ধরে তারা ভবনের পঞ্চম এবং ষষ্ঠ তলা ভাড়া নিয়ে জাল টাকা তৈরি করছিলো। প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৫ লাখ ও সর্বনিম্ন তিন লাখ টাকা করে তারা উৎপাদন করত। প্রতি বান্ডেলে এক লাখ টাকা থাকে। এই এক লাখ টাকা ৯ হাজার থেকে শুরু করে ১৩ হাজার টাকা পাইকারি দরে বিক্রি করতো দেশের বিভিন্ন জেলায়। আর পাইকারের কাছ থেকে খুচরা বিক্রেতারা কিনে নিয়ে সেগুলো ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে মার্কেটে ছেড়ে দিতো। ঈদের পরে আগামী পাঁচ ছয় মাস পর্যন্ত সেখান থেকে বড় ধরণের ব্যবসা পরিচালনা করে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করার পাঁয়তারা করছিলো চক্রটি।
[৬] ডিবির কর্মকর্তা মশিউর জানান, ঈদের আগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সাঁড়াশি অভিযান চালানোর আশঙ্কায় চক্রটি ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করছিলো। তবে ঈদের পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সাধারণত তাদেরকে খুঁজবেনা, এমন আশায় বড় আঙ্গিকে ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে চক্রটি পল্টনের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বড় কারখানা স্থাপন করে।
[৭] আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।