আনিস তপন: [২] বৃহস্পতিবার"Monitoring report 2020 of the Bangladesh Second Country Investment plan Nutrition-Sensitive food System" শীর্ষক সভায় সভাপতি হিসেবে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। মন্ত্রী তার মিন্টু রোডের সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত সভায় যুক্ত হন।
[৩] মন্ত্রী আরো বলেন, করোনাকালীন সময়ে বিভিন্ন ধরনের ফসলের পাশাপাশি সবজি ও নানা ধরনের দেশজ ফল চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করতে হবে। উৎপাদনের পর সঠিক বাজার ব্যবস্থাপনা নির্বিঘ্ন করতে হবে। সবজি ও ফলমূলের ক্ষেত্রে কৃষকের চেয়ে মধ্যস্বত্বভোগীরা বেশি মুনাফা নিয়ে যায়, ফলে দিন দিন কৃষকের এ খাতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে।
[৪] FAO, USAID এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন FPMU এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সভায় খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতি ইঞ্চি জমিকে উৎপাদনের আওতায় আনতে হবে। এজন্য সেচ ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে। বরেন্দ্র এলাকায় বৃষ্টির পানি ধরে রাখা যায় না, এ এলাকায় ফসল উৎপাদনের জন্য কিভাবে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা যায় সে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখতে হবে। পাশাপাশি কৃষকের উৎপাদিত ফসলের প্রাপ্য মূল্যের নিশ্চয়তা দিতে হবে। তাহলে কৃষক ফসল উৎপাদনে উৎসাহিত হবে, নিরুৎসাহিত হবে না।
[৫] শাকসবজি ও দেশজ ফল বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির অন্যতম উৎস উল্লেখ করে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, করোনা মহামারীর কারণে অনেক মানুষ কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে পড়ছে। তাই ভাবতে হবে কিভাবে এই করোনাকে মোকাবেলা করে দারিদ্র্যের হার কমানো যায়।
[৬] মন্ত্রী বলেন, আমরা অনেকেই অসচেতন। এই covid-19 র সময়েও অনেকেই মাস্ক পড়ে না, এজন্য আরো সচেতনতা তৈরি করতে হবে। তেমনি খাদ্যেও অনেকে ভেজাল মেশায়। তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা আমাদের মনকে ভেজাল মুক্ত করতে না পারবো, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা ভেজাল মুক্ত হতে পারবনা।