ইমরুল শাহেদ : হঠাৎ করেই চিত্রজগতে চাউর হয়ে গেছে, এ মাসেই সিনেমা হল খুলে দেওয়া হচ্ছে। এই খবরে চলচ্চিত্রশিল্পের অনেকের মুখেই হাসির ঝলক দেখা গেল। একজনের কাছে যখন জানতে চাওয়া হয়, সিনেমা হল খুলে দেওয়ার কথা শুনে তারা এতো খুশি কেন? জবাবে তারা বললেন, সিনেমা হল খুলে গেলে চলচ্চিত্র নির্মাণ আবার নিয়মিত হবে।
তাতে তাদের কাজের অভাব হবে না। অন্তত না খেয়ে থাকতে হবে না। কাউকে ঢাকা ছেড়েও যেতে হবে না ইত্যাদি। কিন্তু অনুসন্ধান করে জানা গেছে, সিনেমা হল খুলে দেওয়ার সংবাদটি সঠিক নয়। প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস বলেন, ‘এমন কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। তবে কিছুদিন আগে এমন একটি আবেদন নিয়ে আমরা কয়েকজন তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন যে, তিনি বিষয়টি দেখবেন।
তবে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’ তিনি জানিয়েছেন, ছবি মুক্তি দেওয়ার মতো দেশে এখন সিনেমা হলের সংখ্যা মাত্র ৮০টি। আর যেগুলো আছে সেগুলো ধর্তব্যের মধ্যে পড়ে না। দীর্ঘ সময় থেকে বন্ধ থাকলে এ সংখ্যা আরো হ্রাস পেতে পারে। আগে দেশে সিনেমা হলের সংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে ১৩শ’। সেখান থেকে কমতে কমতে ৮০টিতে নেমে এসেছে।
প্রযোজক পরিবেশক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু বলেন, ‘আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি সিনেমা হলগুলোকে সচল করতে। প্রদর্শক সমিতির প্রশাসক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে এ ব্যাপারে একটি সুপারিশ পাঠিয়েছেন। তিনি সেই সুপারিশ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মন্ত্রিপরিষদে উপস্থাপন করবেন বলে জানিয়েছেন। মন্ত্রিপরিষদ যে সিদ্ধান্ত দেবে সে অনুসারেই সিনেমা হল সচল হবে।’ তবে চলচ্চিত্রশিল্প এখনো সচল হয়নি। নাটকের জগত সক্রিয় হয়েছে।
ইউটিউবের কার্যক্রমও থেমে নেই। এগুলো অবশ্য কোনোটা ঘরোয়া বিনোদন এবং কোনোটা হ্যান্ড বিনোদন। অর্থাৎ এনড্রয়েডের মাধ্যমেই দেখা যায়। কিন্তু সিনেমা হল হলো গণজমায়েতের স্থান। কোভিড বিস্তার রোধেই সিনেমা হল বন্ধ রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলচ্চিত্র বিনোদন উপভোগ করার মতো পরিবেশ এখনো তৈরি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে না।
আপনার মতামত লিখুন :